সেঞ্চুরিয়নে ৮৮ রানে জয় পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ঘরে তুলেছে ৫-০ ব্যবধানে।
সুপারস্পোর্ট পার্কে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৮৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে এটি তাদের ২৪তম সাড়ে তিনশ’ ছাড়ানো স্কোর। জবাবে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান করে শ্রীলঙ্কা।
সেখান থেকে দলকে তিনশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব প্রথম শতক পাওয়া আসেলা গুনারত্নের। সচিথ পাথিরানার সঙ্গে ৯২ রানের জুটিতে প্রাথমিক ভিত গড়েন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে সুরঙ্গা লাকমলের সঙ্গে ৯৭ রানের আরেকটি চমৎকার জুটিতে পরাজয়ের ব্যবধান কমান গুনারত্নে। শেষ পর্যন্ত ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ১১৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১৪টি চার ও দুটি ছক্কায়।
৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ক্রিস মরিস। ওয়েইন পার্নেল ২ উইকেট নেন ৫১ রানে।
১০৯ রান করা ডি ককের ৮৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১৬টি চারে। এই রান করার পথে তরুণ ব্যাটসম্যান ছাড়ান তিন হাজার রানের মাইলফলক। সেঞ্চুরিয়নে এটি তার চতুর্থ শতক।
আগের চার ইনিংসে একবার পঞ্চাশ পর্যন্ত যাওয়া আমলার সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন সিরিজ সেরা ফাফ দু প্লেসি। সিরিজে দুটি শতক পাওয়া এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরেন ৩৪ বলে ৪১ রান করে।
এবি ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি দুমিনি ফিরেন দুই অঙ্কে গিয়েই। আমলার সঙ্গে ৪.৫ ওভারে ৬২ রানের বিধ্বংসী এক জুটি গড়েন ফারহান বেহারডিন।
৪৯তম ওভারে ফেরার আগে ১৩৪ বলে ১৫টি চার আর ৫টি ছক্কায় ১৫৪ রান করেন ম্যাচ সেরা আমলা। এটি তার ২৪তম ওয়ানডে শতক, সবমিলিয়ে ৫০তম আন্তর্জাতিক শতক। বেহারডিন বিদায় নেন ২০ বলে ৩২ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৮৪/৬ (ডি কক ১০৯, আমলা ১৫৪, দু প্লেসি ৪১, ডি ভিলিয়ার্স ১৪, দুমিনি ১০, বেহারডিন ৩২, মরিস ৩*, পার্নেল ১*; লাকমল ৩/৭১, কুমারা ০/৬০, মদুশঙ্কা ২/৭০, ডি সিলভা ০/২৪, পাথিরানা ০/৪৩, ভান্ডারসে ১/৬১, গুনারত্নে ০/৪৬)
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (ডিকভেলা ৩৯, থারাঙ্গা ৭, মেন্ডিস ১, বিরাক্কডি ১০, ডি সিলভা ১১, গুনারত্নে ১১৪*, পাথিরানা ৫৬, মদুশঙ্কা ৭, ভান্ডারসে ৭, লাকমল ২০*; রাবাদা ০/৫৫, মরিস ৪/৩১, পার্নেল ২/৫১, তাহির ১/৫৭, দুমিনি ০/২৮, ফেহলুকয়ায়ো ০/৪৪, বেহারডিন ০/১৭)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮ রানে জয়ী
সিরিজ: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হাশিম আমলা
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ফাফ দু প্লেসি