বাংলাদেশের টেস্ট বাড়ানোর পক্ষে ব্যাট ধরলেন কোহলি

ব্যাট হাতে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছেন প্রায় প্রতিদিনই। ইদানিং ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আলোচনায় অধিনায়ক কোহলিও। নেতৃত্বের শুরুর দিন থেকেই ছাপ রেখে চলছেন। ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক থেকে হয়ে উঠছেন নেতা, দারুণ একজন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। এর প্রমাণ রাখলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের আগের দিনও। ব্যাট ধরলেন বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পক্ষে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিহায়দরাবাদ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2017, 08:13 AM
Updated : 8 Feb 2017, 02:10 PM

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচ মানে বিশ্ব ক্রিকেটেরই রোমাঞ্চকর একটি লড়াই। টেস্ট ক্রিকেটে চিত্রটা উল্টো। র‌্যাঙ্কিং বলছে ভারত টেস্টের শীর্ষ দল, বাংলাদেশ তলানির দিকের। বাস্তব ব্যবধানটা সম্ভবত আরও বেশি, বিশেষ করে ভারতের মাটিতে। দেশের মাটিতে ভারত সবসময়ই দারুণ শক্তিশালী। কিন্তু কোহলির ভারত ছুটছে আরও অপ্রতিরোধ্য গতিতে। হারের স্বাদ পায়নি টানা ১৮ টেস্ট!

বাংলাদেশ সেখানে পিছিয়ে অনেকটাই। কোহলির বিশ্বাস, বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে এগোনোর মত যথেষ্ট সুযোগ বাংলাদেশ পায়নি, এখনও পাচ্ছে না।

“আমার তো মনে হয় ওদের স্কিল যথেষ্টই আছে। সমস্যা হলো খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ ওরা পাচ্ছে না। টেস্ট স্কোয়াড হিসেবে আত্মবিশ্বসটাও তাই অর্জন করতে পারছে না। খুবই মৌলিক ব্যাপার এটা। ওয়ানডেতে ওরা এত ভালো দল হয়ে উঠেছে কারণ প্রচুর ওয়ানডে খেলেছে। নিয়মিত খেলে। ওয়ানডেতে ওরা সব দলকেই হারিয়েছে; কারণ জানে এই ফরম্যাট কিভাবে খেলতে হয়। টেস্ট ক্রিকেট খুব বেশি না খেললে কখনোই মাইন্ডসেট বোঝা যায় না।”

ভারত অধিনায়কের বিশ্বাস, আরও বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে এই সংস্করণেও দারুণ দল হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।

“অনুশীলন যতোই করুন, ম্যাচ খেলা সবসময়ই ভিন্ন ব্যাপার। সামর্থ্য ওদের আছেই। কিন্তু মাইন্ডসেট একেক ফরম্যাটে একেকরকম থাকতে হয়। যত বেশি টেস্ট খেলবে, ততই ওরা এসব বুঝতে পারবে। আমি নিশ্চিত, আরও বেশি খেলার সুযোগ পেলে ওরাও দারুণ টেস্ট ক্রিকেটার হয়ে উঠবে, দারুণ দল হয়ে উঠবে।”

“আমার মনে হয়, ওদের এই দিকটা সবার আরও তুলে ধরা উচিত। এই পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার স্কিল ওদের অবশ্যই আছে। স্রেফ যত বেশি খেলার সুযোগ পাবে, ততই ভালো হতে থাকবে। যেটা বলেছি, ওদের স্কিল এত ভালো যে প্রতিপক্ষ হিসেবে আমি চিন্তিত। দারুণ প্রতিভাবান ওরা। আমরা মনোযোগ দিচ্ছি দল হিসেবে ওদের বিপক্ষে কতটা কী করতে পারি।”

প্রতিপক্ষ অধিনায়কের কাছ থেকে এত সার্টিফিকেট পাওয়া অবশ্যই অনুপ্রেরণার। তবে তার চেয়ে বেশি জরুরি, কোহলির আহবানকে গুরুত্ব দেওয়া। কথাগুলো নতুন নয়, তবে ভারত অধিনায়কের কাছ থেকে এমন শক্ত বিবৃতি তো বিশ্ব ক্রিকেটের প্রশাসকদের কানে জোরেসোরেই টোকা দেওয়া উচিত! এমনকি বিসিবি কর্তাদেরও একটু হুঁশ ফেরা উচিত, টেস্ট বাদ দিয়ে যারা ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি আয়োজনের ওজর খোঁজে প্রায়ই!