শনিবার শুরু হওয়া বোর্ড সভায় না উঠলে আগামী এপ্রিলে পরের সভায় এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
প্রধান নির্বাহীদের কমিটির সুপারিশ অনুমোদন পেলে এক রকমের দ্বিস্তরে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। ২০১৯ থেকে ৯-৩ ফরম্যাটের দুই বছর মেয়াদী টেস্ট লিগ দেখা যাবে। যেখানে সেরা ৯টি দল নিজেদের মধ্যে আর র্যাঙ্কিংয়ের নীচের তিনটি দলের বিপক্ষে খেলবে। এই মুহূর্তে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বর দল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
র্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয় দল ঘরে বা প্রতিপক্ষের মাঠে দুই বছরের মধ্যে অন্তত একবার খেলবে। সেরা দুই দল মুখোমুখি হবে প্লে-অফে। পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর এর বাইরেও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে পারবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, লিগ শুরু হলে প্রথম নয় দলকে প্রতি দুই বছরে এই তিন দেশের অন্তত একটির সঙ্গে সিরিজ খেলতে হবে। চার বছর পর পর এই তিন দেশের মূল্যায়ন করা হবে।
তিন বছর মেয়াদী ওয়ানডে লিগে খেলবে ১৩ দেশ। ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ এবং আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন দল। এই সময়ে প্রতিটি দল ঘর ও প্রতিপক্ষের মাঠে একটি করে সিরিজ খেলবে।
বছরের অন্তত ১২টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলবে প্রতিটি দেশের। স্বাভাবিকভাবে নেই কোনো সর্বোচ্চ সীমা। আয়োজক দেশ আর প্রথম সাত দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। এই লিগের শেষ ৫ দলকে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে। মূল টুর্নামেন্ট হবে ১০ দলের।
এবার থেকেই চার বছর পরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। সেই হিসাবে পরের দুই আসর হওয়ার কথা ২০২০ ও ২০২৪ সালে। তবে ২০১৮ ও ২০২২ সালে আরও দুটি বাড়তি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কথা চলছে।
আইসিসির পাঁচটি অঞ্চলেই এই টুর্নামেন্টের জন্য একটি বাছাই পর্ব চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি সাইকেলে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ থেকে তারা যে পয়েন্ট পাবে তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত পর্বে যাবে। ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের সময় দলগুলো সর্বোচ্চ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও আয়োজন করবে পারবে।