বড় হার দিয়েই সফর শেষ বাংলাদেশের

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় একদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও চার দিনে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2017, 10:04 PM
Updated : 23 Jan 2017, 06:18 AM

ক্রাইস্টচার্চে ৯ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
 
আবার দ্বিতীয় ইনিংস পথ হারালো বাংলাদেশ, আবার সহজেই জিতল নিউ জিল্যান্ড। ওয়েলিংটনে ৭ উইকেটে হারা অতিথিরা সফর শেষ করেছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ৯ উইকেটে হেরে। 
 
তৃতীয় দিনের পুরো খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যায়। এরপরও ম্যাচ পঞ্চম দিনে নিতে পারেনি চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। জিত রাভালের উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড।
 
একবার জীবন পাওয়া টম ল্যাথাম অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে, টানা দুই ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৩ রানে। একমাত্র উইকেটটি নেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।

ল্যাথামকে জীবন দিলেন সাকিব
 
আবার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ হাতছাড়া হল। তরুণ অফ স্পিনারের বলে টম ল্যাথামের সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। সে সময় ৩৫ রানে ব্যাট করছিলেন নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

প্রথম আঘাত কামরুলের
 
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আঘাত হানেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। জিত রাভালকে বোল্ড করে ভাঙেন ৫৬ রানের জুটি। ৩৩ রান করে নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার সময় স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরও ৫৩ রান।

০৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
 
ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানের গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি। ১০৯ রানের ছোট্ট যে লক্ষ্য দেয় অতিথিরা তাতে বড় অবদান টেলএন্ডারদের। ৫১ রানের জুটি গড়েন তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৩৩ রান করে ফিরেন নয় নম্বর ব্যাটসম্যান তাসকিন। ১০ নম্বর বাটসম্যান কামরুল অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। 
 
নিউ জিল্যান্ডের তিন পেসার নিল ওয়েগনার, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি করে উইকেট নেন। অন্য উইকেটটি অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বল করার সুযোগ মিলেনি বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের।

১৭৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ
 
রুবেল হোসেনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ১৭৩ রানে গুটিয়ে দেন টিম সাউদি। অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং। ৭ রান করে ফিরেন রুবেল। ক্যারিয়ার সেরা ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।

লিড শতরানে নিয়ে তাসকিনের বিদায়
 
পাল্টা আক্রমণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে ফিরেন তাসকিন আহমেদ। ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ ইয়র্কার ফেরাতে পারেননি এই তরুণ। 
 
একটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩০ বলে ৩৩ রান করে তাসকিনের বিদায়ে ভাঙে তার সঙ্গে কামরুল ইসলাম রাব্বির ৫১ রানের জুটি। দলের সংগ্রহ তখন ১৬৬/৯, লিড ১০১ রান।

তাসকিন-কামরুল জুটির অর্ধশতক
 
ধসে বাধ দেন দুই টেলএন্ডার তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইমলাম। পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান সংগ্রহ করেন তারা। অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। ৭.৪ ওভারে আসে তাদের অর্ধশতক। এ সময়ে বাংলাদেশের লিডও পৌঁছায় তিন অঙ্কে।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন তাসকিন
 
ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট বলে আম্পায়ার নিউ জিল্যান্ডের ক্যাচের আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন তাসকিন আহমেদ। হটস্পট আর রিয়েল টাইম স্নিকোতে দেখা যায় বল ব্যাট বা গ্লাভসে লাগেনি, ক্যাচ উঠে কাঁধে লেগে। সে সময় ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন তাসকিন।

শর্ট বলে মিরাজের বিদায়
 
শূন্য রানে জীবন পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরেন ৪ রানে। ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট বলে টম ল্যাথামকে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ দেন এই তরুণ। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১১৫/৮, লিড ৫০।

বোল্টের ইয়র্কারে বোল্ড শান্ত
 
ধসে বাধ দিতে পারলেন নাজমুল হোসেন শান্তও। মাটি কামড়ে পড়ে থাকা তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বোল্ড হন ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ এক ইয়র্কারে। ৩ উইকেটে ৯২ থেকে বাংলাদেশের স্কোর তখন ১০৬/৭। লিড ৪১ রান।

শূন্য রানে জীবন পেলেন মিরাজ
 
নিল ওয়েগনারের বলে শূন্য রানে জীবন পান মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটের কানা নেওয়া সহজ ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে তালুবন্দি করতে পারেননি জিত রাভাল। এর আগে শূন্য রানে সাব্বির রহমান ও নুরুল হাসানকে ফেরান ওয়েগনার।
 
নুরুলও আউট শূন্য রানে
 
চা বিরতির পর দ্বিতীয় বলেই ফিরেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান। অভিষেকে প্রথম ইনিংসে প্রতিরোধ গড়া এই তরুণ এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
 
নিল ওয়েগনারের লেগ স্টাম্পের বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন নুরুল। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১০০/৬, লিড ৩৫ রান।

দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট
 
৮০ রান তুলতে দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেনি অতিথিরা। থিতু হয়ে ফিরেন সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ। একবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব আল হাসান। প্রথম ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে না পারা সাব্বির রহমান এবার ফিরেন শূন্য রানে।

শূন্য রানে সাব্বিরের ফেরা
 
সাব্বির রহমানের অস্বস্তি ভরা ইনিংস শেষ হয় নিল ওয়েগনারের বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে। ১১ বলে শূন্য রানে সাব্বিরের বিদায়ে আবার জুটি বাধেন দুই অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন ও নুরুল হাসান। বাংলাদেশের স্কোর ১০০/৫, লিড ৩৫ রান।

ব্যাটের কানায় লেগে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড
 
তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহর ওপর। বেশি দূর যেতে পারেননি এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। বোল্ড হন নিল ওয়েগনারের অফ স্টাম্পের বলে ব্যাটের কানায় লেগে।  
 
৬৭ বলে ৩৮ রান করে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙে তার সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর ১০ ওভার স্থায়ী ১৯ রানের জুটি। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৯২/৪, লিড ২৭ রান।

দলকে বিপদে ফেলে সাকিবের বিদায়
 
এসেই মেরে খেলার চেষ্টা করা সাকিব আল হাসান টিকেন ৭ বল। একবার জীবন পাওয়ার পর বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান আবার বাজে শট খেলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন।
 
সাকিবকে ফিরিয়ে টেস্টে নিজের দুইশতম উইকেট নেন টিম সাউদি। 
 
তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৭৩/৩।  লিড তখন ৮ রান।

জীবন পেলেন সাকিব
 
সাকিব আল হাসানের খেলা প্রথম বলটি একটুর জন্য গালির ফিল্ডারের হাতে যায়নি। পরের বলে আবার ঝুঁকি নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এবার সহজ ক্যাচ যায় দ্বিতীয় স্লিপে। জিত রাভাল এবার বল মুঠোয় নিতে পারেননি। তখন ৪ রানে ব্যাট করছিলেন সাকিব।

রাভালের দারুণ ক্যাচে ফিরলেন সৌম্য
 
অফ স্টাম্পের বাইরে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের নির্বিষ বলে গালিতে জিত রাভালের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন সৌম্য সরকার। ভাঙে ৪১ রানের জুটি। 
 
৩৬ রান করে সৌম্য ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৫৮/২।

বাংলাদেশের পঞ্চাশ
 
তামিম ইকবালের দ্রুত বিদায়ের পর বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। ১৭তম ওভারে দলের রান পঞ্চাশে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান।

প্রথম সেশনে তামিমের উইকেট
 
আড়াই ঘণ্টার লম্বা প্রথম সেশনে ৯৪ রানে নিউ জিল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার পর তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। লাঞ্চে যাওয়ার সময় তাদের স্কোর ২০/১। এখনও ৪৫ রানে পিছিয়ে দলটি। সৌম্য সরকার ৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৩ রানে অপরাজিত।

শর্ট বলে ফিরলেন তামিম
 
ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টিম সাউদির ফাঁদে পা দেন তামিম ইকবাল। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। 
 
৮ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৭/১। তখনও তারা পিছিয়ে ৪৮ রানে।

নিউ জিল্যান্ডের ৬৫ রানের লিড
 
হেনরি নিকোলসের ব্যাট ৬৫ রানের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশকে ২৮৯ রানে গুটিয়ে দেওয়া স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে করে ৩৫৪ রান।
 
স্বাগতিকরা চতুর্থ দিন শেষ ৩ উইকেটে যোগ করে ৯৪ রান। 
 
নিউ জিল্যান্ডের ততদূর যাওয়ায় বড় দায় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। সকালে ৩টি ক্যাচ হাতছাড়া করেন ফিল্ডাররা। এর দুটি কামরুল ইসলাম রাব্বি ও একটি তাসকিন আহমেদের বলে।

নুরুলের অসাধারণ রান আউট
 
ফিল্ডারের থ্রো স্টাম্পের পিছনে আসবে না বুঝতে পেরে এগিয়ে যান উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। থ্রো আসার পর পিছনে তাকিয়ে স্টাম্প দেখেননি, বল ছুড়ে ভেঙে দেন স্টাম্প। সে সময়ে বেশ ভেতরে ছিলেন নিউ জিল্যান্ডের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান নিল ওয়াগনার। কিন্তু মাটিতে ব্যাট ছোঁয়াননি, দুই পাও ছিল শূন্যে। তার রান আউটে ৩৫৪ রানে থামে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। 

৯৮ রানে নিকোলসকে ফেরালেন মিরাজ
২ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক পাওয়া হয়নি হেনরি নিকোলসের। নিউ জিল্যান্ডকে লিড এনে দেওয়া এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফেরান বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 
১৪৯ বলে ১২টি চারে ৯৮ রান করে নিকোলস ফেরার সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর তখন ৩৪৩/৯। লিড তখন ৫৪ রান।

নিকোলস-ওয়েগনার জুটির অর্ধশতক
 
অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস ও নিল ওয়েগনার। ৫৮ বলে আসে তাদের পঞ্চাশ রান। এই দুই জনের দৃঢ়তায় নিউ জিল্যান্ডের লিড ৫০ ছাড়ায়। 
 
৮৯ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩৪৩/৮।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ওয়েগনার
 
তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচেন নিল ওয়েগনার। বলের কিছুটা অংশ লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ায় বদলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
 
ক্যাচ মিসের মহড়া
 
আবার ক্যাচ হাতছাড়া হয় তাসকিন আহমেদের বলে। নিল ওয়েগনারের সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি গালির ফিল্ডার। দ্বিতীয় দিন তাসকিনের বলে ক্যাচ ছেড়েছিলেন সাব্বির রহমান। চতুর্থ দিন সকালে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে হাত থেকে ফস্কায় দুটি ক্যাচ।

দ্বিতীয় নতুন বল
 
৮০ ওভার শেষ হতেই দ্বিতীয় নতুন বল নেয় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া তামিম ইকবাল আক্রমণে আনেন তাসকিন আহমেদকে। 
 
৮১ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩০৮/৮।

নিউ জিল্যান্ডের তিনশ’
 
কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে টানা দুই চার হাঁকিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ তিনশ’ রানে নিয়ে যান হেনরি নিকোলস। ৮০ ওভার শেষে দলটির স্কোর ৩০২/৮।

নিউ জিল্যান্ডের লিড
 
সকালে টিম সাউদির উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে লিড নেয় নিউ জিল্যান্ড। দিনের খেলা শুরুর সময় বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে ছিল তারা। 
 
৭৯ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৯১/৮। দলটির লিড তখন ২ রান।

সাউদিকে ফেরালেন সাকিব
 
একবার জীবন পাওয়া টিম সাউদি নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের বলে শর্ট এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। দ্বিতীয় স্লিপে সাউদিকে জীবন দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ এবার ধরেন চমৎকার এক ক্যাচ। 
 
১৭ রান করে সাউদির বিদায়ের সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৮৬/৮।

সাউদিকে জীবন দিলেন মিরাজ
 
দিনের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে টিম সাউদির ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে তালুবন্দি করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। সে সময় ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন নিউ জিল্যান্ডের নয় নম্বর ব্যাটসম্যান।

উইকেট ভেজা থাকায় খেলা শুরুতে দেরি
 
বৃষ্টি নেই, চমৎকার রোদ উঠেছে। তবে এরপরও নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ভেজা উইকেট শুকিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শুরু হয় ক্রাইস্টচার্চ চতুর্থ দিনের খেলা।  
 
তৃতীয় দিন টানা বৃষ্টির জন্য কোনো বল গড়ায়নি মাঠে। তাই চতুর্থ দিন আধ ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে তিনটা) খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল।  
 
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২৬০/৭। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৮৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।