নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র অনুশীলন সেশন প্রায় পুরোটাই পণ্ড হয়েছে বৃষ্টিতে। তবে ওয়ানডে সিরিজের হতাশা ও টি-টোয়েন্টিতে সম্ভাবনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব।
ওয়ানডে সিরিজে দলের ব্যর্থতার বড় একটা দায় দেওয়া হচ্ছে দলের অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের। সিরিজ শেষে সিনিয়রদের কাছ থেকে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার হতাশার কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক ও কোচ।
অভিযোগগুলো মাথা পেতে নিচ্ছেন সাকিব। তবে সেটা দলের আর দশজন ক্রিকেটার হিসেবেই, সিনিয়র হিসেবে নয়। সিনিয়র-জুনিয়র বিভাজনটিই মানতে নারাজ দলের সহ-অধিনায়ক।
“একটা দলে খেলে ১১ জন, দায়িত্ব সবার। সিনিয়র-জুনিয়রের ব্যাপার নেই। কারণ দিনশেষে দলটা বাংলাদেশ। জিতলে সবাই জেতে, হারলে সবারই দায়। সিনিয়র-জুনিয়র ব্যপারটি আমার কাছে জুতসই মনে হয় না। এখানে সবারই আলাদা দায়িত্ব আছে এবং সবার সেটি পালন করা উচিত।
“দলে কেউ নতুন আসবে বলে পারবে না, এমন নয়। আমরা মনে করি, যেই হোক, তার কিছু করার ক্ষমতা আছে বলেই দলে এসেছে এবং সে পারবে।”
সাকিব আলাদা করে দেখতে না চাইলেও বিশ্বের সব দলেই সিনিয়রদের দায়িত্ব বেশি। অভিজ্ঞতা বেশি বলেই পরিণত পারফরম্যান্স আশা করা হয় সিনিয়রদের কাছ থেকে, ভরসা করা হয় দুঃসময় থেকে উদ্ধারে। সাকিব সেটি মানছেন, তবে সঙ্গে যোগ করছেন নিজের আগের কথাটিও।
“হ্যাঁ, সেটা (দায়িত্ব) তো একটা থাকেই। তবে যদি চিন্তা করেন যে সিনিয়ররাই সব করবে, তাহলে তো হবে না। তাহলে তো আপনি পাঁচটা ক্রিকেটার নিয়ে খেলছেন দলে, ঠিক না? ৫ জন নিয়ে খেলছেন না। জুনিয়র ক্রিকেটার যখন খেলবে, তাদেরও কাজ আছে।”
“আমরা বিশ্বাস করি, যে যার জায়গায়ই খেলুক বা ম্যাচে যে যেখানেই খেলুক, সবাই কাজটা ঠিকমত করতে পারলেই আমরা জিতব।”
সব কাজ সবাই সব দিন ঠিকঠাক করবে না অবশ্যই। তবে সব দিনই কিছু কিছু কাজ কয়েকজনকে ঠিকঠাক করতে হবে সবটুকু। সিনিয়র হোক বা জুনিয়র, সেটুকু হলেই জিতবে দল। তবে সাকিবের কথা মেনে নিয়েও এটুকু সত্যি, সিনিয়ররা ভালো করলেই বেড়ে যায় দলের জয়ের সম্ভাবনা!