‘অন্তত ১৮০-১৯০ রান করতে হবে’

নামটা শুনলেই বোলারদের জন্য মায়া হয়, ‘সুপার স্ম্যাশ’। নামের স্বার্থকতাও প্রমাণ করে চলছে নিউ জিল্যান্ডের চলতি এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বোলারদের বধ্যভুমিতে রান উৎসবে মেতেছেন ব্যাটসম্যানরা। সাকিব আল হাসানের ধারণা, বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও দেখা যাবে চার-ছক্কার ফুলঝুরি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক নেপিয়ার থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2017, 11:00 AM
Updated : 2 Jan 2017, 01:18 PM

নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টেই কদিন আগে একটি ম্যাচে হয়েছে রান ও ছক্কার রেকর্ড। অন্য বেশিরভাগ ম্যাচেও ছিল ব্যাটসমানদের দাপট। ম্যাচগুলি অনুসরণ করেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টির ভেন্যু ম্যাকলিন পার্কের উইকেট মনে করা হয় নিউ জিল্যান্ডের সেরা ব্যাটিং উইকেটগুলোর একটি। সাকিবের বিশ্বাস, এই মাঠেও হবে রানের খেলা।

“এখানকার টি-টোয়েন্টি আমরা দেখেছি বেশ কিছু। অনেক রান হচ্ছে, দুইশ রানও অনায়াসে তাড়া করে ফেলছে। এখানে মাঠ ছোট, বিশেষ করে উইকেটের দুই পাশে সীমানা অনেক ছোট। আগে ব্যাট করলে বড় রান গড়তে হবে, পরে ব্যাট করলে বড় রান তাড়ার প্রস্তুতি রাখতে হবে।”

“উইকেট যদিও এখনও দেখিনি, তার পরও অনুমান করতে পারি আগে ব্যাট করলে অন্তত ১৮০-১৯০ হয়ত করতে হবে। উইকেট-আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে যদিও। তবে এখানে যে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হচ্ছে, সেখানে এরকম রানই হচ্ছে। চেষ্টা থাকবে সে রকম কিছুই করতে।”

ব্যাটিং উইকেট আর টি-টোয়েন্টির প্রসঙ্গ আসলেই চলে আসে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পুরোনো আরেকটি ইস্যু। টি-টোয়েন্টিতে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য বাংলাদেশের কজন ব্যাটসম্যানের আছে!

সেই প্রশ্নের উত্তর গবেষণার বিষয়। তবে আপাতত এই দেশে মাথা চুলকাতে হবে না, বলছেন সাকিব।

“নিউ জিল্যান্ডে খুব বেশি ‘ফায়ার পাওয়ার’ দরকার নেই। কারণ মাঠগুলো অত বড় না, আউটফিল্ড গতিময়। আমাদের যা শক্তি আছে, তা দিয়েই মাঠ পার করা সম্ভব। যেটা দরকার, যে থিতু হতে পারবে তাকে বড় ইনিংস খেলতে হবে।”

ওয়ানডে সিরিজ জুড়ে এটি খুঁজেই হাপিত্যেশ করে মরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় ইনিংস। ছোট ক্রিকেটেও চাওয়া সেই একই, বড় ইনিংস!