৩৭ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ২৪ রানে ১ উইকেট নেন নবি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের জয়ে নিজের অবদান থাকায় খুশির কথা জানান এই অলরাউন্ডার।
“এভাবে পারফর্ম করতে পেরে আমি খুব খুশি। বাংলাদেশে পারফর্ম করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
নবি জানান, দল হারের মধ্যে থাকলেও খেলোয়াড়দের ওপর কোনো বাড়তি চাপ ছিল না, “কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল মাঠে নিজেদের শতভাগ দিতে আর সবাইকে নিজের খেলাটা খেলতে বলেছিলেন।”
“পিচ খুব ভালো ছিল। আমরা ১৬০-১৭০ রানের লক্ষ্য করেছিলাম। ভেবেছিলাম যদি আমাদের হাতে উইকেট থাকে তাহলে শেষ ওভার পর্যন্ত চড়াও হতে পারব। ... ১৭তম ওভারের পর থেকে আমরা সুযোগগুলো নিতে থাকি এবং যত সম্ভব রান নিতে থাকি। মাঠে এই পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।”
“কয়েকটা উইকেট হারালেও প্রথম ছয় ওভারে আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পেরেছি। এটা ভালো স্কোর ছিল।”
৫ উইকেটে ১৯০ রান করা চিটাগংয়ের কাছে হারের আগে লড়েছে রাজশাহী। এক সময়ে দলটির স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১১২ রান। নবি জানান, ম্যাচের এই পর্যায়েও জয়ের কথাই ভাবছিলেন তারা।
“আমাদের পরিকল্পনা ছিল সঠিক লাইন ও লেংথে বল করা। প্রতি ওভারে ১১ রান করে করা খুব কঠিন। আঁটসাঁট লাইনে বল করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের।”
সেই পরিকল্পনা সফলও। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৭১ রান করে ড্যারেন স্যামির দল। ১৯ রানে জেতে চিটাগং।