৫১ রান করে সতীর্থদের সুযোগ দিতে স্বেচ্ছা-অবসরে যান নাফিস। সীমিত সুযোগটুকু মোটামুটি কাজে লাগিয়েছেন সৌম্য সরকারও। রান পেয়েছেন কিছু, তার চেয়েও বড় কথা, উইকেটে কাটিয়েছেন প্রায় দুই ঘণ্টা। ৩৩ রান করে শাহরিয়ারের মত তিনিও স্বেচ্ছায় ছাড়েন উইকেট।
গা গরমের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে বিসিবি একাদশ। টস জিতে ৪৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড।
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন খেলা হয়নি ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে। দ্বিতীয় দিনে প্রস্তুতির স্বার্থে সমঝোতা করে করে দু দলই সিদ্ধান্ত নেয় ৪৫ ওভার করে খেলার।
সৌম্য তখনও শান্ত, খেলছিলেন দেখেশুনে। ব্রডের শর্ট বলে পুল করে চার মেরে রানের খাতা খোলেন ১৯ নম্বর বলে।
অফ স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটি আক্রমণে এসে টানা তিন ওভার নিয়েছিলেন মেডেন। স্কয়ার ড্রাইভে চার মেরে সেই গেরো ছোটান শাহরিয়ার। তার টাইমিং এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে মন্থর, ভারী আউটফিল্ডেও বল ছুটেছে রকেটের গতিতে।
বিসিবি একাদশের ইনিংসের সময় অবশ্য খানিকটা ভালো হয়েছিল আউটফিল্ড। সকালে ইংল্যান্ড বেশ কিছু রান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে ভেজা ও ভারী আউট ফিল্ডের কারণে।
৩৫ রানে একবার জীবন পান শাহরিয়ার। বাঁহাতি স্পিনার জাফর আনসারির বলে মিড উইকেটে ক্যাচ ছাড়েন মইন আলি।
আনসারিকেই ডাউন দা উইকেট এসে ওয়াইড লং অন দিয়ে ওড়ান সৌম্য। এর আগে ব্যাটিকেও ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বাকি সময়টুকু ভালোই কাজে লাগান অধিনায়ক সাব্বির ও তরুণ প্রতিভা নাজমুল হোসেন শান্ত। নিজের মতো খেলেই সাব্বির করেন ৩০। চারটি চারের পাশাপাশি ব্যাটিকে উড়িয়েছেন লং অনের ওপর দিয়ে।
দিনের শেষের আগের ওভারে ব্যাটির বলেই এলবিডব্লিউ হন সাব্বির। ওভারের শেষ বলে মোসাদ্দেক ক্যাচ দেন শর্ট লেগে। এই আউটেই ম্যাচের সমাপ্তি।
দ্বিতীয় দুই দিনের ম্যাচ রোববার থেকেই। সাব্বির-শাহরিয়ার থাকছেন না সেই ম্যাচে। নেতত্ব দেবেন সৌম্য, থাকছেন শান্ত-মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৪৫ ওভারে ১৩৭/৪ (ডি.)
বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১৩৬/৪ (শাহরিয়ার রিটায়ার্ড আউট ৫১, সৌম্য রিটায়ার্ড আউট ৩৩, শান্ত ১১, সাব্বির ৩০, মোসাদ্দেক ০; ব্রড ০/২০, ব্যাটি ২/৩১, ফিন ০/২৬, আনসারি ০/২৩, রশিদ ০/১০, মঈন ০/২২, বল ০/১)।
ফল: ম্যাচ ড্র