বোলিংয়ে উজ্জ্বল সাব্বির, ব্যাট হাতে ডাকেট

বিসিবি একাদশে বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেই একজনও। তবে অনিয়মিত স্পিনার সাব্বির রহমানই বেশ ভোগালেন ইংলিশদের। তবে তার আগেই দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন বেন ডাকেট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2016, 06:40 AM
Updated : 15 Oct 2016, 12:06 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ৪৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। ৫৯ রান করে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন ডাকেট। তিনটি উইকেট নিয়েছেন সাব্বির।

ম্যাচের প্রথম দিন ভেস্তে গিয়েছিল ভেজা আউটফিল্ডে। দ্বিতীয় দিনে তাই দু দলই ব্যাটিং করবে ৪৫ ওভার করে। তবে জয়-পরাজয়ের ব্যাপার নেই, শুধুই প্রস্তুতি।

অ্যালেক্স হেলস না আসায় টেস্টে অ্যালেস্টার কুকের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী খুঁজছে ইংল্যান্ড। দুই তরুণ ডাকেট ও হাসিব হামিদের মাঝে একজনকে বেছে নেওয়ার মঞ্চ দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি। আপাতত এগিয়ে থাকলেন ডাকেট।

আউটফিল্ড পুরোপুরি শুকায়নি দ্বিতীয় দিনও। মাঠের অনেক জায়গাই ভারী, মোটা ঘাসও ছিল। প্রস্তুতির স্বার্থেই তবু শুরু হয় খেলা। বিসিবি একাদশের হয়ে এক প্রান্তে নতুন বল নেন এবাদত হোসেন। আরেকপ্রান্তে রান আপ ভেজা থাকায় মূল পেসারদের বোলিং দিতে পারেননি অধিনায়ক সাব্বির। নতুন বল হাতে নেন তাই সৌম্য সরকার।

৫ রানে এবাদতের বলে কটবিহাইন্ডের জোড়ালে আবেদন থেকে বেঁচে যান ডাকেট। বিসিবি একাদশের ক্রিকেটাররা নিশ্চিত ছিল আউট, কিন্তু তাদের হতাশ করেন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান। এরপর ডাকেট খেলেছেন নিজের মতোই আক্রমণাত্মক ঢংয়ে। মন্থর উইকেটে খেলেছেন দারুণ সব শট। ৬৩ বলে ৫৯ করার পর মাঠ ছাড়েন তিনি।

এই উইকেট ও আউটফিল্ডে ৫৯ রান অনেকটা ৭৫-৮০ রানের মতো। ডাকেটের বেশ কটি শট থমকে গেছে সীমানার কাছাকাছি গিয়ে।

আরেকপাশে হামিদ ছিলেন ভীষণ সাবধানী। রানের খাতা খোলেন ১৫ বলে। এরপরও ছিলেন সতর্ক। শেষ পর্যন্ত ১০০ মিনিট উইকেটে থেকে ডানহাতি ওপেনার কট বিহাইন্ড হয়েছেন সাব্বিরের লাফিয়ে ওঠা একটি বলে। ৫৬ বলে করেছেন ১৬।

সাব্বির এর আগেই নিয়েছেন সবচেয়ে বড় উইকেটটি। একবার শর্ট কাভারে ক্যাচ মতো দিয়েও বেঁচে যান জো রুট। এরপর প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে ইংলিশদের এই ম্যাচের অধিনায়ক এলবিডব্লিউ ২ রানেই।

২ উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। লাঞ্চের পর খানিকটা ব্যাটিং অনুশীলন করে নেন গ্যারি ব্যালান্স ও মইন আলি। রান করার চেয়ে উইকেটে সময় কাটানোতেই বেশি মনোযোগ ছিল দুই বাঁহাতির। দেড় ঘণ্টা উইকেটে ছিলেন ব্যালান্স, মইন ৭৪ মিনিট।

শেষ দিকে সাব্বিরের বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাতে ধরা পড়েন মইন। ব্যালান্স থেকে যান অপরাজিত।

এক প্রান্তের রান আপ ভেজা থাকায় বিসিবি একাদশের চার পেসারকে এক প্রান্ত থেকেই বোলিংয়ে আনতে হয়েছে। আরেক পাশে সৌম্যর পরে বোলিং করেছেন শুভাগত, সাব্বির, মোসাদ্দেকরা।

উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন কামরুল রাব্বি। খারাপ করেননি আবু জায়েদ রাহি ও রুবেল হোসেনও।

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৫ ওভারে ১৩৭/৪ (হামিদ ১৬, ডাকেট ৫৯, রুট ২, ব্যালান্স ২৭*, মঈন ২৪; বেয়ারস্টো ২*; এবাদত ০/২৭, সৌম্য ০/২২, জায়েদ ০/১৭, শুভাগত ০/১০, সাব্বির ৩/২৭, কামরুল রাব্বি ০/১৪, রুবেল ০/৯, মোসাদ্দেক ০/৭)।