বাংলাদেশের স্পিনারদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্য রাজুর

ইকোনমির কথা চিন্তা করে এখন স্পিনাররা এখন তেমন চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই জোরের ওপর কোনো রকমে ওভার শেষ করে। ভারতের সাবেক স্পিনার ভেঙ্কটপতি রাজু ব্যাপারটা একদমই মেনে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের শিষ্যদের তাই তিনি শেখাতে চান স্পিনের শিল্প।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2016, 03:21 PM
Updated : 16 August 2016, 03:22 PM

মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের স্পিনারদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন রাজু। প্রথম পাঁচ দিন হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের ১৭ জন স্পিনারের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। এরপর জাতীয় দলের ৮ স্পিনারের ভুল-ত্রুটি নিয়ে কাজ করবেন।

“আমরা বোলারদের অ্যাকশন বদলাব না, বরং তাদেরকে ভালো বোলার হওয়ার পথটা দেখিয়ে দেব। উঁচু পর্যায়ের ক্রিকেটে অনেক বেশি চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করতে হয। আমরা আসলে বোলারদের শিখাব, কিভাবে উঁচু মানের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং করতে হয়।”

বাংলাদেশে এর আগেও এসেছেন রাজু। প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন, আইসিসির হয়েও সফর করে গেছেন। আবার ফিরে খুশি তিনি, শিষ্যদের সঙ্গে প্রথম দিনটা কেটেছেও দারুণ।

“আমরা সবাই জানি যে, এশিয়ার দেশগুলো সাধারণত স্পিন বোলিং সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেরও শক্তি হলো স্পিন বোলিং। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই আমরা অনেক স্পিনার পেয়েছি। এতো স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করতে পারা দারুণ ব্যাপার।”

“এখানে ডানহাতি, বাঁহাতি, লেগ ও অফ ব্রেক; নানা রকমের মেধাবীরা আছে। আমার মনে হয়, ১৫ জন বেছে নিয়ে তারা (বোর্ড) দারুণ কাজ করেছে। এরা ভবিষ্যতে ভালো হতে পারে। আর এই উদ্যোগে বোলারদের নিজস্ব ধরন বদলানো হবে না। বরং কিভাবে চাপমুক্ত হয়ে মৌলিক বিষয় ঠিক রেখে বোলিং করা যায়, তা শেখানো হবে।”

শিষ্যদের দক্ষতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই রাজুর। তাদের যে ঘাটতিটুকু আছে সেটা পূরণ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি। 

“আমরা চাই, সবাই যেন চাপমুক্ত হয়ে এবং আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিং করতে পারে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে, এখন সবাই খুব দ্রুত বল করতে চায়। বোলিংয়ে যে অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব সেটা তারা ভুলেই গেছে।”

“মূল পার্থক্যটা আসলে মানসকিতায়। এখানে সবাই টার্নিং উইকেটে খেলে বেড়ে উঠে। উইকেট থেকে সবাই সহায়তা পায়। কিন্তু দেশের বাইরে খেলতে গেলে উইকেটে এতটা আশা করা যাবে না। দেশের বাইরে খেলতে গেলে লেংথ এবং বৈচিত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”