সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলে কিপিং করেছেন এনামুল। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিম। টেস্টে হয়তো কিপিং ছেড়ে দিতে পারেন দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। তার জায়গায় এখন টেস্টে উইকেটের পেছনে দাঁড়াচ্ছেন লিটন দাস। তবে সুযোগটা এলে যেন কাজে লাগাতে পারেন তার জন্য নিজেকে তৈরি রাখছেন।
“আমার জায়গায় যারা খেলছে তারা পারফর্ম করছে, ভালো করছে। ওদের জন্য শুভ কামনা। ওরা ভালো করছে, করতে থাকুক। আর আমার যদি এর মধ্যে সুযোগ আসে তাহলে কাজে লাগাব।”
“অনূর্ধ্ব-১৭, ১৯ ও জাতীয় দলে ঢোকার সময়ও কিন্তু কিপিং সব সময় আমার প্রাধান্য ছিল। মুশফিক ভাই যদি কিপিং না করে আর আমি যদি খেলি টেস্টে, হয়ত আমি কিপিং করে ফেলব। টেস্ট ক্রিকেটে আমি কিপিং করতে চাই। লম্বা সময় ধরেই কিপিং করতে চাই। সেরা কিপারদের একজন হতে চাই।”
২০১২ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে ৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন এনামুল। এর মধ্যে ওয়ানডেতেই সবচেয়ে সফল তিনি। ৩০ ম্যাচের ২৭ ইনিংসে এসেছে তিনটি করে শতক-অর্ধশতক। ৩৫.১৮ গড়ে করেছেন ৯৫০ রান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও আছে সাফল্য। ১৩ ম্যাচে একটি অর্ধশতকসহ ৩২.২৭ গড়ে তার রান ৩৫৫।
টেস্টে অবশ্য মোটেও ভালো করতে পারেননি। ৪ ম্যাচে ৮ ইনিংসে ৯.১২ গড়ে করেছেন মোটে ৭৩ রান, সেরা ২২।
“প্রিমিয়ার লিগে চেষ্টা করেছি স্ট্রাইক রোটেট করার। আমি নিজের জন্য খেলি না। তারপরও অনেক কথা উঠে। আমি চেষ্টা করব এইসব প্রশ্ন আর যেন না উঠে। তার জন্য আমার মাঠে নামতে হবে, খেলতে হবে। খেলার সুযোগ না পেলে তো আর এটা সম্ভব হবে না।”
“ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পর ২-৫টা পর্যন্ত ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে কাজ করছি। বাসায়ও কিছু হোমওয়ার্ক আছে আমার। ব্যাক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করছি ব্যাটিংয়ে উন্নতি করার জন্যে। আশা করছি, খেললে পরে পরিবর্তন এসে যাবে।"