লঙ্কান ক্রিকেট
জাফনা কিংসের বিপক্ষে হারের ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগই পাননি তাওহিদ হৃদয়।
Published : 03 Jul 2024, 07:55 PM
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন কুসাল পেরেরা। বড় পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে আলো ছড়ালেন মুস্তাফিজুর রহমান। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা বাংলাদেশি পেসার ঘুরে দাঁড়িয়ে জাফনা কিংসের বিপক্ষে নিলেন দুই উইকেট। কিন্তু তাদের উজ্জ্বল দিনে জয়ের মুখ দেখল না ডাম্বুলা সিক্সার্স।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে বুধবার ডাম্বুলাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে জাফনা। প্রতিপক্ষের ১৯১ রান তারা পেরিয়ে যায় ম্যাচের শেষ বলে। টানা দুই ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ পেলেন মুস্তাফিজরা।
ডাম্বুলাকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার কারিগর পেরেরা খেলেন ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৫২ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস। এদিন ব্যাটিংয়েই নামতে হয়নি তাওহিদ হৃদয়কে। আগের ম্যাচে স্রেফ ১ রান করা বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাই পাননি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ।
মুস্তাফিজ অবশ্য কাজে লাগান সুযোগ। দারুণ বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১০টি ডট বল করা এই পেসার চার হজম করেন পাঁচটি। ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের বিপক্ষে সোমবার ৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন তিনি এক উইকেট।
জাফনার রান তাড়ার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন মোহাম্মদ নাবি। বাঁহাতি বোলারকে চার মেরে স্বাগত জানান কুসাল মেন্ডিস। দুই বল পরই লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বলটি উড়িয়ে খেলার চেষ্টায় ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়েন মেন্ডিস। ওভারটি থেকে আসে ৬ রান।
একাদশ ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে প্রথম তিন বলে স্রেফ ১ রান দেন মুস্তাফিজ। কিন্তু পরের দুই বলে তাকে মিডউইকেট ও মিড-অফের ওপর দিয়ে চার মারেন চারিথ আসালাঙ্কা। ১০ রান দিয়ে শেষ করেন ওভার।
আভিশকা ফের্নান্দো ও আসালাঙ্কার ঝড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ডাম্বুলা। শেষ চার ওভারে যখন তাদের ২৩ রান প্রয়োজন, নিজের কেবল ৩ রান দিয়ে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে দেন মুস্তাফিজ। ওই ওভারের দ্বিতীয় বল ফুলটস পেয়ে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিকে উড়িয়ে খেলেন আসালাঙ্কা। কিন্তু শটে জোর না থাকায় ৩৬ বলে ৫০ রান করে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। পরের চার বলের তিনটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা।
১২ বলে ১৫ রানের সমীকরণে বোলিংয়ে এসে গড়বড় করে ফেলেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলে তার মাথার ওপর দিয়ে চার মারেন ধানাঞ্জয়া। তৃতীয় বলে আজমাতউল্লাহ ওমারজাই রান আউট হলে আবার একটু আশা জাগে ডাম্বুলার। কিন্তু, ওভারের শেষ বলে ফাবিয়ান অ্যালেনের ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যান দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। ১১ রান আসে ওভারটি থেকে।
পরের ওভারের শেষ বলে ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন অ্যালেন।
৬টি ছক্কা ও ৭ চারে ৩৪ বলে ৮০ রানের চমৎকার ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন আভিশকা।