মেঘলা আকাশ, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া। নতুন বলে দুর্দান্ত সুইং বোলিং। বাংলাদেশে এমন কন্ডিশন বিরল। তবে সিলেটে এবার এই অভিজ্ঞতাই হলো বাংলাদেশ দলের। নতুন বলের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হচ্ছে যাকে, সেই লিটন কুমার দাসের মনে হচ্ছে যেন তারা বিদেশের মাঠে খেলছেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সোমবার যখন খেলা শুরু হলো, কন্ডিশন ছিল অনেকটাই ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের মতো। চৈত্র মাসে আবহাওয়া ছিল অনেকটা হিম হিম। মেঘলা আকাশের নিচে সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে দারুণ মুভমেন্ট আদায় করে নেন দুই আইরিশ পেসার গ্রাহাম হিউম ও মার্ক অ্যাডায়ার।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন ও তামিম ইকবালকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় তখন। সাবধানী ব্যাটিংয়ে সময়টা পার করে দেন তারা। প্রথম ৪ ওভারে রান ওঠে স্রেফ ৫। পরে আস্তে আস্তে হাত খোলেন দুজন। তামিম যদিও রান আউট হয়ে যান ২৩ রানে। উদ্বোধনী জুটি থামে ৪২ রানে। ১৫ ওভারের পর রোদ উঠে যায়, উইকেটে শুরুর সতেজতাও কমে আসে। ব্যাটসম্যানরা তা কাজে লাগান দারুণভাবে।
৭ ওভার শেষে লিটনের রান ছিল ২২ বলে ৬। শেষ পর্যন্ত তিনি খেলেন ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, শুরুতে কাজটা ছিল খুবই কঠিন।
“শুরুর দিকে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন ছিল। অনেকদিন পর মনে হয় বাংলাদেশে এমন ক্রিকেট খেললাম, যেটায় অনুভূতি হচ্ছে যে বাইরের দেশে ক্রিকেট খেলছি। তাও আবার এরকম কন্ডিশন, খুব একটা যে এখন শীত, তা নয়। গরমের সময়ও এরকম কন্ডিশনে যে বল মুভ করছে। হয়তো একদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা সুবিধা পেয়েছে। শুরুতে খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।”
প্রথম ম্যাচের কন্ডিশন এতটা কঠিন না হলেও শুরুতে চ্যালেঞ্জ ছিল সেদিনও। কিছুটা সুইং নতুন বলে সেই ম্যাচেই মিলেছে, বাউন্স ছিল একটু অসমান। তার পরও দুই ম্যাচেই শুরুর জড়তা কাটিয়ে ৩৩৮ ও ৩৪৯ রানের স্তোর গড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এসব ম্যাচ দারুণ কাজে লাগবে বলে মনে করেন লিটন।
“অবশ্যই অনেকখানি সাহায্য হবে (বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য)। আপনি বিশ্বকাপে যখন ভালো ভালো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলবেন, তখন এরকমই মুভমেন্ট থাকবে। এই কোয়ালিটির বোলিংই করবে। আমার মনে হয়, আপনি যখন ধারাবাহিকভাবে ৩০০-৩৫০ রান করার অবস্থায় থাকবেন, তার মানে আপনি ভালো ক্রিকেট খেলছেন।”