মাহিদুলের ৯ ছক্কার পর আবু হায়দারের ঝড়ো ইনিংস, অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল সাকিব

দুর্দান্ত পারফরমান্সের ধারা ধরে রাখলেন মাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের টেস্ট দলে যোগ দেওয়ার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন সাকিব আল হাসান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2024, 01:55 PM
Updated : 27 March 2024, 02:00 PM

জয়ের জন্য ৬ বলে মোহামেডানের প্রয়োজন তখন ৯ রান। হাসান মাহমুদের বাউন্সারে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। সমীকরণ তো সহজ। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নন হাসান। রান দিলেন না তিনি পরপর তিন বলে। ম্যাচ তখন জমজমাট। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেরে উঠলেন না হাসান। তবে শেষ দুই বলে চার মেরে মোহামেডানকে শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দিলেন কামরুল। 

প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়া মোহামেডানকে লড়াইয়ে রাখে ৯ ছক্কায় মাহিদুল ইসলামের ৭৮ রানের ইনিংস। পরে আবু হায়দরারের ঝড়ো ফিফটি জয়ের দিকে এগোয় তারা। শেষের কাজটুকু করেন কামরুল।

মোহামেডানের এমন জয়ের দিন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বড় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান।

পারভেজের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে মোহামেডানের জয় 

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১ উইকেটে হারায় মোহামেডান। শুরুতে বিপর্যয়ে পড়া দললকে পথে শেষ দিকে দুই পেসার কামরুল ইসলাম ও আবু হায়দারের ঝড়ে ম্যাচের শেষ বলে জিতেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

পারভেজ হোসেনের সেঞ্চুরি ও তামিম ইকবালের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ২৭৯ রান করে প্রাইম ব্যাংক। পরে বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে মোহামেডানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ২৭২ রান।

ছয় ম্যাচে মোহামেডানের পঞ্চম জয় এটি। পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে গেছে তারা। টানা চার জয়ের পর দুই ম্যাচ হারল প্রাইম ব্যাংক। 

বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে মোহামেডানের জয়ের নায়ক আবু হায়দার। শেষ দিকে ১৪ বলে ২৮ রানের মহামূল্য ইনিংস খেলেন খেলেন আরেক পেসার কামরুল ইসলাম।

রান তাড়ায় স্রেফ ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় মোহামেডান। বিপর্যয় সামাল দিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন মাহিদুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম। দুজনকেই ফেরান অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব।

টানা চতুর্থ ও চলতি লিগে পঞ্চম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৭৮ রান করেন মাহিদুল। ৯২ বলের ইনিংসে ১ চারের সঙ্গে ৯টি ছক্কা মারেন তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান। আরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৭০ বলে ৪৫ রান।

৩৩ ওভারে মোহামেডান দেড়শ ছুঁতে নামে বৃষ্টি। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। পুনরায় খেলা শুরুর পর দ্রুতই ফেরেন আরিফুল হক। ১৫৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় মোহামেডান।

আট নম্বরে নেমে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন আবু হায়দার। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সপ্তম উইকেটে স্রেফ ৫৩ বলে গড়ে তোলেন ৮৫ রানের জুটি। হাসান মাহমুদের বলে প্রথম ছক্কার পর আশিকুর জামানের দুই ওভারে ৩টি ছক্কা মারেন আবু হায়দার। লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেন তিনি ৩১ বলে।

জয় থেকে ২৮ রান দূরে থাকতে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ৩ চার ও ২ ছক্কায়  অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান করেন ৩৩ বলে ৪২ রান। এরপর নাসুম আহমেদ শূন্য রানে আউট হলে ফের হারের শঙ্কায় পড়ে যায় মোহামেডান। 

জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ১৬ বলে ২৭ রান। সময়ের দাবি মেটান তখন কামরুল। দুই ওভারে ২৪ রানের সমীকরণে শেখ মেহেদি হাসানের প্রথম দুই বলেই ছক্কা মারেন তিনি। ওই ওভারেই আউট হন ৩ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংস খেলা আবু হায়দার। 

এরপর শেষ ওভারের নাটকীয়তা। তিনটি ডেলিভারিতে রান করতে না পারলেও তিন চারে দলকে জেতান কামরুল।

মোহামেডানের লক্ষ্যটা হতে পারত আরও বড়। কিন্তু দারুণ শুরুর পর শেষটা ভালো করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক।

প্রাইম ব্যাংকর ওপেনার পারভেজ উপহার দেন চলতি লিগে তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৬টি করে চার-ছক্কায় ১১১ বলে ১১০ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার।

এবারে লিগে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬ ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে পারভেজের সংগ্রহ ৪৩১ রান। ৪৬ ম্যাচের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে পারভেজের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। 

তামিম ইকবালের সঙ্গে পারভেজের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২২ রান। টানা তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৮৩ বলে ৬৫ রান করেন অভিজ্ঞ ওপেনার। ৬ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন তিনি। 

দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ ও সাব্বির রহমান গড়েন ৮৪ বলে ৯৬ রানের জুটি। ৪৬ বলে ৩৯ রান করা সাব্বির রান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ধস নামে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে। ৬১ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় তারা। 


সংক্ষিপ্ত স্কোর:

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব:
৫০ ওভারে ২৭৯ (তামিম ৬৫, পারভেজ ১১০, সাব্বির ৩৯, মিঠুন ১, নাঈম ০, মেহেদি ১, অলক ১৭, নাজমুল ০, হাসান ২, আশিকুর ১৯*, সাকলাইন ৩; আবু হায়দার ৯-১-৪২-১, আরিফুল ইসলাম ১০-১-৪২-০, নাসুম ৯-০-৩৫-২, মাহমুদউল্লাহ ৯-০-৪৭-১, কামরুল ৭-০-৫২-১, আসিফ ৩-০-২৮-১, আরিফুল হক ৩-০-২০-৩)

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: (লক্ষ্য ৪৭ ওভারে ২৭২) ৪৭ ওভারে ২৭৫/৯ (প্রান্তিক ১, রনি ১২, ইমরুল ০, মাহিদুল ৭৮, আরিফুল ইসলাম ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৪২, আরিফুল হক ৭, আবু হায়দার ৫৪, নাসুম ০, কামরুল ২৮*, আসিফ ০*; নাজমুল ১০-০-৫৩-২, হাসান ১০-১-৬৩-২, আশিকুর ৯-১-৫৪-২, সাকলাইন ৯-০-৩২-২, মেহেদি ৮-০-৫৮-১, অলক ১-০-১৩-০)

ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ:
আবু হায়দার।

হৃদয়ের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে আবাহনীর ছয়ে ছয়

চলতি লিগে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় তুললেন তাওহিদ হৃদয়। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে খেললেন ৮৪ বলে ১২৫ রানের ইনিংস। তার ১১ চার ও ৬ ছক্কার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বড় জয় পেল আবাহনী।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ১৪০ রানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩২১ রানের লক্ষ্যে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় লিগে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা দলটি।

ছয় ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আবাহনী। লিগে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল তারা। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার ইতিবাচক শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিন নম্বরে নামানো হয় জাকের আলিকে। রয়েসয়ে শুরু করেন তিনি। চারে নামা আফিফ হোসেন দ্রুত ফিরলে ২৩তম ওভারে ক্রিজে যান হৃদয়।

চতুর্থ উইকেটে ১২১ বলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও জাকের। ৪৭ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া হৃদয় সেঞ্চুরিতে পৌছাতে খেলেন স্রেফ আর ২৭ বল। তিন অঙ্ক ছুঁয়েও থামেননি তিনি। ২টি করে চার-ছক্কায় পরের ১০ বলে করেন ২৫ রান। 

৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকের। তার বিদায়ের পর অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্রেফ ৪৮ বলে ৮৭ রান যোগ করেন হৃদয় ও মোসাদ্দেক হোসেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৪৩ রানের ক্যামিও খেলেন আবাহনী অধিনায়ক। 

রান তাড়ায় জয়ের কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি রূপগঞ্জ টাইগার্স। শুরুতে সাইফ উদ্দিন, মাঝে নাহিদুল ইসলাম ও শেষ দিকে মোসাদ্দেকের বোলিংয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মাহফিজুল ইসলাম। ৭১ বলে ১ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা মারেন তরুণ ওপেনার। এছাড়া অভিজ্ঞ শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ বলে ৩৯ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী লিমিটেড:
৫০ ওভারে ৩২০/৪ (এনামুল ২৪, নাঈম ৩১, জাকের ৭৮, আফিফ ৭, হৃদয় ১২৫*, মোসাদ্দেক ৪৩*; সালমান ৭-০-৫৫-০, মানিক ১০-০-৭৬-০, সোহাগ ১০-২-৫৮-১, মামুন ৬-০-৪১-১, গালিব ৪-০-১৮-০, হাশিম ১০-০-৫১-১, সালমান ইমন ৩-০-২১-০)

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৪৩.২ ওভারে ১৮০ (মামুন ১৭, মাহফিজুল ৪৮, আইচ ০, ফরহাদ ২৯, শামসুর ৩৯, গালিব ০, সোহাগ ২, সালমান ইমন ১২, হাশিম ১২*, মানিক ০, সালমান ০; তাসকিন ৭-১-২৫-১, সাইফ উদ্দিন ৭-১-৩০-২, তানভির ১০-০-৪৫-১, তানজিম ৭-১-২৮-০, নাহিদুল ১০-১-৩৭-৩, মোসাদ্দেক ১.২-০-৩-৩, আফিফ ১-০-১-০ )

ফল: আবাহনী লিমিটেড ১৪০ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ:
তাওহিদ হৃদয়।

টেস্ট ম্যাচের আগে ছন্দে সাকিব

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিব আল হাসানের। এর আগের দিন প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রাখলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৩৯ রানে হারায় শেখ জামাল। 

আগে ব্যাট করে ২৩৩ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। দ্বিতীয় ইনিংসে বৃষ্টি নামলে ৪৫ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩২ রান। নতুন লক্ষ্যে ১৯২ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। 

তিন নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব। পরে ৯ ওভারে স্রেফ ১৪ রান খরচায় তিনি নেন ২ উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামালের হয়ে শুরুটা ভালো করেন সাইফ হাসান ও সৈকত আলি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সৈকত ফিরলে উইকেটে যান সাকিব। শুরুতে কিছুটা সময় নেন তিনি। 

১৭তম বলে প্রথম বাউন্ডারি মারেন সাকিব। শেখ পারভেজ রহমানের অফ স্পিনে এক ওভারে মারেন দুটি ছক্কা। মইন খানের বলে চার মারে ৬২ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি। আব্দুল গাফফারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে থামে তার ইনিংস।

ছন্দে থাকা ইয়াসির আলি চৌধুরি, নুরুল হাসান সোহানরা ব্যর্থ হলে দেড়শ রানের আগে ৬ উইকেট হারায় শেখ জামাল। তাতে অবশ্য দমে যাননি জিয়াউর রহমান ও তাইবুর রহমান। পাল্টা আক্রমণে সপ্তম উইকেটে ৭৮ বলে ৮৩ রান যোগ করেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার।

৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন জিয়া। তাইবুরের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ২৫ রান।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। স্রেফ ৮৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। 

বিপর্যয় সামাল দিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে কিছুটা সম্ভাবনা জাগান মইন ও পারভেজ। দুজন মিলে ৬৪ বলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ৫২ বলে ৪২ রান করেন মইন। পারভেজের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৩২ রান। 

শেষ দিকে গাফফারের ২২ রানের সৌজন্যে দুইশর কাছাকাছি যায় গাজী গ্রুপ। 


সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: 
৫০ ওভারে ২৩৩ (সাইফ ২৮, সৈকত ২৪, সাকিব ৫৩, ফজলে মাহমুদ ১৪, সোহান ১১, ইয়াসির ৫, তাইবুর ২৫, জিয়াউর ৫৫, মৃত্যুঞ্জয় ১, রিপন ৪, টিপু ১*; রুয়েল ১০-০-৫৪-৩, গাফফার ১০-০-৩১-৩, পারভেজ ১০-১-৪২-০, মাহফুজুর ৭-১-৩৪-২, মইন ১০-০-৩৭-০, আনিসুল ৩-০-২৮-১)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: (লক্ষ্য ৪৫ ওভারে ২৩২) ৪২.২ ওভারে ১৯২ (আনিসুল ২২, হাবিবুর ১, মেহেদি ৩৫, সাব্বির ১, প্রিতম ১১, আল আমিন ১, মাহফুজুর ১, মইন ৪২, পারভেজ ৩২, গাফফার ২২, রুয়েল ৯*; জিয়াউর ৮-০-৪২-১, রিপন ৭.২-০-৪৪-১, সাকিব ৯-১-১৪-২, মৃত্যুঞ্জয় ৭-০-৪১-৩, সাইফ ৩-১-৮-১, টিপু ৩-০-২০-০, তাইবুর ৫-১-১৮-২)

ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩৯ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: সাকিব আল হাসান