কলকাতা নাইট রাইডার্সে লিটনের বদলি চার্লস

নানা দেশে টি-টোয়েন্টি লিগে ঝড় তুললেও ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান প্রথমবার সুযোগ পেলেন আইপিএলে।

গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে একসঙ্গেই খেলেছেন লিটন দাস ও জনসন চার্লস। 

বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পরিচিত মুখ হলেও এখনও সবচেয়ে আকর্ষণীয় লিগটিতেই খেলতে পারেননি জনসন চার্লস। এবার সেই সুযোগ পেতে যাচ্ছেন তিনি। বিধ্বংসী এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে এই প্রথম পা রাখছেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। 

প্রথমবার আইপিএলে সুযোগ পাওয়া আরেক ক্রিকেটার লিটন কুমার দাসের বদলি হিসেবে চার্লসকে নিয়েছে কলকাতা।

এবারের আইপিএলের নিলামে ৫০ লাখ রুপিতে লিটনকে দলে নিয়েছিল কলকাতা। তবে দেশের মাঠে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের সিরিজের জন্য শুরু থেকে আইপিএলে যোগ দিতে পারেননি এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

পরে যোগ দিলেও অপেক্ষা করতে হয় একাদশে সুযোগ পাওয়ার জন্য। কাঙ্ক্ষিত সেই সুযোগটি যখন আসে, তা কাজে লাগাতে পারেননি লিটন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৪ রানে আউট হওয়ার পর উইকেটের পেছনে দুটি স্টাম্পিংয়ের সুযোগও হাতছাড়া করেন। এরপর আর সুযোগ মেলেনি তার।

পারিবারিক প্রয়োজনে পরে লিটন দেশে ফেরেন সম্ভাব্য সময়ের একটু আগেই। এখন তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে আছেন আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের জন্য। এই সিরিজ শেষেও এই মৌসুমে আর আইপিএলে ফিরবেন না তিনি। এজন্যই তার বদলে একজনকে নিতে পেরেছে কলকাতা।

চার্লস ও লিটন গত বিপিএলে একসঙ্গে খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন চার্লস। তবে এরপর লম্বা সময় ছিলেন দলের বাইরে। ৬ বছর পর গত অক্টোবরে আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারেন তিনি। ফেরার পর শুরুতে ভালো কিছু করতে না পারলেও গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের এক ম্যাচে খেলেন ১১ ছক্কায় ৪৬ বলে ১১৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।

ওই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তার সুযোগ পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল বিপিএলে পারফরম্যান্সের। গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি ৫১.৩৩ গড় ও প্রায় ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে ৩০৮ রান করে। এর মধ্যে এক ম্যাচে সিলেটে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২১১ রান তাড়ায় খেলেন ১১ ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ফাইনালে ৫২ বলে ৭৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে তিনিই ছিলেন ম্যাচ সেরা।

বিপিএলে তিনি পারফর্ম করেছেন আগেও নানা মৌসুমে। বিপিএল ও নিজেদের সিপিএল ছাড়াও তিনি খেলেছেন পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের ঘরোয়া লিগে।

তাকে নিয়ে দলগুলির একটি বড় সুবিধা, মূলত টপ অর্ডার হলেও তিনি খেলতে পারেন মিডল অর্ডারের যে কোনো পজিশনেও। পারফর্মও করেছেন নানা পজিশনে। কলকাতা অবশ্য ধুঁকছে তাদের উদ্বোধনী জুটি নিয়ে। এখনও পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ৬টি ভিন্ন জুটিতে ইনিংস শুরু করেছে তারা।

ইংল্যান্ডের জেমন রয় ও আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ এখনও আছেন দলে। চার্লসকে তারা কোথায় কাজে লাগায়, এই কৌতূহল থাকবে। লিটন ও গুরবাজের মতো চার্লস কিপিংও করতে পারেন, যদি দলের প্রয়োজন হয়।

৯ ম্যাচে স্রেফ ৩ জয় নিয়ে ১০ দলের আসরে আপাতত পয়েন্ট তালিকার ৮ নম্বরে কলকাতা।