মৌসুমে ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট খেললে একজন ক্রিকেটারের ম্যাচ ফি ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে!
Published : 09 Mar 2024, 08:24 PM
টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ক্রিকেটারদের আগ্রহ বাড়াতে যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। এই সংস্করণের জন্য মোটা অঙ্কের প্রণোদনা ঘোষণা করেছে তারা। এতে প্রতি মৌসুমে ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট খেললে একজন খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে!
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবার ধারামশালা টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে জিতে ৪-১-এ সিরিজ জয়ের পর এই ঘোষণা দেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। পরে বোর্ডও বিবৃতি দিয়ে জানায় বিষয়টি। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘টেস্ট ক্রিকেট ইনসেনটিভ স্কিম।’
২০২২-২৩ মৌসুমকেও এই প্রণোদনার আওতায় ধরা হয়েছে। এতে লাভবান হবেন বর্তমানে টেস্ট দলের বাইরে থাকা চেতেশ্বর পুজারাও। ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারতের ৯ টেস্টের ৭টি খেলেন এই ব্যাটসম্যান, যা ৭৭.৮ শতাংশ। প্রতি টেস্টে ১৫ লাখ রুপি ম্যাচ ফি ছাড়াও প্রতি টেস্টের জন্য বাড়তি ৪৫ লাখ রুপি পাবেন তিনি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তিনি আয় করবেন ৪ কোটি ২০ লাখ রুপি।
মৌসুমে ৯ টেস্ট ধরে বাড়তি আয়ের একটি তালিকা দিয়েছে বিসিসিআই। কোনো খেলোয়াড় মৌসুমে ৫০ শতাংশের কম টেস্ট (৪ ম্যাচের কম) খেললে এই অর্থ পাবেন না। ৫০ শতাংশের বেশি টেস্ট (৫ ও ৬ ম্যাচ) খেলা ক্রিকেটাররা ম্যাচ প্রতি পাবেন ৩০ লাখ রুপি। ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট (৭ বা এর বেশি ম্যাচ) খেলা খেলোয়াড়রা ম্যাচ প্রতি পাবেন ৪৫ লাখ রুপি। এ ছাড়া প্রতি টেস্টে ১৫ লাখ রুপি ম্যাচ ফি তো থাকছেই।
যার মানে, মৌসুমে ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট খেললে একটি টেস্ট থেকে ম্যাচ ফি ও বাড়তি অর্থ মিলিয়ে ৬০ লাখ রুপি আয় করতে পারবেন একজন ক্রিকেটার।
একাদশের বাইরে স্কোয়াডে থাকা অন্য খেলোয়াড়রাও পাবেন বাড়তি অর্থ। সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি টেস্টের জন্য ম্যাচ প্রতি ১৫ লাখ, ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্টের জন্য ম্যাচ প্রতি সাড়ে ২২ লাখ রুপি পাবেন খেলোয়াড়রা।
সম্প্রতিক সময়ে লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচনা হয়েছে অনেক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চেয়ে খেলোয়াড়দের আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ‘প্রবণতা’ দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিসিআই। শ্রেয়াস আইয়ার ও ইশান কিষানের মতো ক্রিকেটার রঞ্জি ট্রফি এড়িয়ে চলার পর বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে।
টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রণোদনা ঘোষণার খবর এলো এমন এক সময়ে, যখন অন্যান্য দেশেও এই সংস্করণ গুরুত্ব হারাচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন টেস্ট সিরিজের জন্য দ্বিতীয় সারির দল পাঠায় নিউ জিল্যান্ড সফরে। তাদের প্রথম পছন্দের বেশিরভাগ ক্রিকেটার ওই সময়ে নিজ দেশে এসএটোয়েন্টিতে খেলেন।