ভাসের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চান তাসকিন

বিপিএল দলে এবার প্রধান কোচ হিসেবে লঙ্কান পেস কিংবদন্তিকে পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ফাস্ট বোলার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2023, 02:52 PM
Updated : 4 Jan 2023, 02:52 PM

পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। তা সেটি নিজের হোক বা দলের। আপাতত তা অনিশ্চিত। তবে এবারের বিপিএলে একটি ব্যাপার নিশ্চিত করতে চান তাসকিন আহমেদ। টুর্নামেন্টজুড়ে যতটা সম্ভব তিনি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চান চামিন্দা ভাসের সংস্পর্শে থেকে। 

বিপিএল দল ঢাকা ডমিনেটর্সে এবার ভাসকে প্রধান কোচ হিসেবে পেয়েছেন তাসকিন। এমন কিংবদন্তি পেসারের সঙ্গে প্রায় দেড় মাস কাজ করার সুযোগ তো যে কোনো পেসারের জন্যই আকাঙ্ক্ষিত। 

দুজনের বোলিংয়ের ধরনে অবশ্য ফারাক অনেক। ভাস ছিলেন বাঁহাতি পেসার, তাসকিন ডানহাতি। ভাসের বোলিংয়ে গতি বেশি ছিল না। গতির ওপর জোরও দিতেন না তিনি। দুই দিকেই সুইং করাতে পারাসহ স্কিল ছিল তার অনেক। তাসকিনের ক্ষেত্রে গতি ও বাউন্স একটা বড় অস্ত্র। পাশাপাশি গত দুই-তিন বছরে স্কিলেও তিনি উন্নতির ছাপ রাখতে পেরেছেন। 

তবে পেস বোলিংয়ের মৌলিক জায়গাগুলো তো একই। বিশেষ করে উপমহাদেশের উইকেটে সাদা ও লাল বলে ভাসের যে সাফল্য, এখানে তার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছুই। বোলিং কোচ হিসেবে নানা দেশে কাজ করে কোচিং অভিজ্ঞতাও এখন তার যথেষ্ট। 

ঢাকা ডমিনেটর্সে প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তাসকিন বললেন, ভাসের অভিজ্ঞতার ভাগ নিতে তিনি মুখিয়ে আছেন। 

“আজকেই তার সঙ্গে কথা হলো। আমি তাকে বলেছি যে, ‘আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে চাই। দলের কাজে ফাঁকে যতটা পারেন, আমাকে দয়া করে শেখাবেন, পরামর্শ দেবেন।’ উনি কোচ শোনার পর থেকেই এবারের বিপিএলে এটা আমার বড় এক লক্ষ্য। এরকম গ্রেট ক্রিকেটারদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।” 

পরে দরের প্রতিনিাধ হয়ে সংবাদ সম্মেলনেও শোনালেন ভাসের কাছ থেকে শেখার তাড়না। 

“উনি একজন কিংবদন্তি পেসার। উনি কোচ হিসেবে আসছেন শুনে ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লেগেছে। চেষ্টা করব উনার কিছু টিপস নিয়ে যাতে আমি আরেকটু উন্নতি করতে পারি। সবসময়ই চাই শিখতে, উনার থেকেও যেন কিছু শিখতে পারি।” 

তিন সংস্করণ মিলিয়ে বিবেচনা করলে তাসকিন এখন নিঃসংশয়ে দেশের সেরা পেসার। বিপিএলেও তার পারফরম্যান্সের দিকে নজর থাকবে দেশের ক্রিকেটের। তার প্রতি দলের প্রত্যাশাও থাকবে অনেক। 

গত বিপিএলে চার ম্যাচ খেলার পরই তিনি ছিটকে গিয়েছিলেন চোটের কারণে। এবার তার লক্ষ্য বড় কিছুর। 

“ইচ্ছা তো আছে ভালো করব। সেরাটা দেব। প্রক্রিয়ার বাইরে তো কিছু নেই। এবারও একই প্রক্রিয়ায় আছি। ম্যাচে সুযোগ যখন আসবে, ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।” 

“ইচ্ছা আছে শীর্ষ উইকেট শিকারিদের মধ্যে থাকার। আর সবসময় চাইব যে, আমার যাতে কিছু ম্যাচ জেতানো স্পেল থাকে এবং অবদান থাকে। এটাই আমার ইচ্ছা।” 

ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশপাশি দল হিসেবে চাওয়ার কথাও শোনালেন তাসকিন। যদিও তারকাসমৃদ্ধ দল গড়তে পারেনি ঢাকা ডমিনেটর্স। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যেও নেই ততটা সমৃদ্ধ সংগ্রহ। তবে আশা তাদের কম নয়। সেই ২০১৩ বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে ফাইনাল খেলেছিলেন তিনি। ফাইনালে দারুণ বোলিংও করেছিলেন, কিস্তু জিততে পারেনি দল। অধরা সেই ট্রফি ছোঁয়ার স্বপ্ন আছে তার মনের কোনে। 

“হয়তো কাগজে-কলমে অনেক দলের চেয়ে অনেকটা ছোট দল আমরা। তবে আমি মনে করি যে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু ক্রিকেটার আছে আমাদের, যাদের ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য আছে। তারা যদি তাদের সেরাটা খেলতে পারে, কে জানে, ভালো করতেও পারি আমরা।” 

“ফাইনাল খেলেছি একবারই, সেটিও জীবনের প্রথম বিপিএল। এরপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য হয়নি এতগুলো বিপিএলে। আশা করছি, এবার হবে। এবার না হলেও সামনে হবে। এবারও যদি হয়, আলহামদুলিল্লাহ…।”