কোভিড: শনাক্ত ছাড়াল দেড় হাজার

দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে গত একদিনে আরও ১,৬৮৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2022, 10:53 AM
Updated : 24 June 2022, 12:57 PM

এর আগে সবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে এক দিনে ১৯৫১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মাঝের সময়টায় এই সংখ্যা আর ১৬ শ ছাড়ায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এই নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে।

তাতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা আগের দিন ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ ছিল। বৃহস্পতিবারের তুলনায় পরীক্ষা বাড়ায় শুক্রবার শনাক্তের হার কিছুটা কমে এসেছে।

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের দাপট কমে আসার পর শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দশের নিচেও নেমেছিল। মাঝে ২০ দিন কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি।কিন্তু জুন মাসের শুরু থেকে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিন।

১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। ১০ দিনের মাথায় বুধবার তা হাজার ছাড়ানোর দুদিন পর দেড় হাজারের ঘরও ছাড়াল।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২১৩ জন।

গত একদিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মোট মৃত্যু আগের দিনের মতই ২৯ হাজার ১৩৫ জন থাকছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৮৫ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৪১৭ জন সেরে উঠলেন।

গত এক দিনে শনাক্ত ৮৭৪ নতুন রোগীর মধ্যে ১৫১১জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে সারাদেশের সবগুলো বিভাগে।

মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ২১ লাখ।