বাংলাদেশে এরচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল সেই মহামারীর শুরুর দিকে, ২০২০ সালের ২ এপ্রিল, সেদিন দুজন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঈদের ছুটির মধ্যে শনাক্তের হারও নেমে এসেছে শুন্য দশমিক ২০ শতাংশের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে নতুন কারও মৃত্যুর খবরও আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ওই চারজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকার এবং একজন কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। দেশের বাকি ৬২ জেলায় কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল।
দৈনিক শনাক্তের এই হার ২০২০ সালের ২৯ মার্চের পর সর্বনিম্ন। সেদিন ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৭ জন।
এ নিয়ে টানা পঞ্চদশ দিন কোভিডে মৃত্যুহীন দিন পার করেছে বাংলাদেশ। তাতে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে একটানা ১৫দিন কখনোই মৃত্যুহীন ছিল না।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৫৭ জন। তাদের নিয়ে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৮ সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৩২ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৫৫ লাখের বেশি।