টিকার প্রতিরোধ এড়ানোর সক্ষমতায় এগিয়ে বলেই বেশি সংক্রামক ওমিক্রন: গবেষণা

টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়, তা এড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতায় করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের চেয়ে এগিয়ে থাকার কারণেই ওমিক্রন ধরনটি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে উঠে এসেছে ডেনমার্কের এক গবেষণায়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2022, 04:33 PM
Updated : 4 Jan 2022, 04:33 PM

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স লিখেছে, নভেম্বরের শেষ দিকে প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন কীভাবে এত দ্রুত শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ল, তার একটি ধারণা পাওয়া যাচ্ছে এই গবেষণা থেকে।  

জিন বিন্যাসের দিক দিয়ে অনেক বেশি পরিবর্তিত ওমিক্রন প্রথমবার আবির্ভূত হওয়ার পর থেকেই বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ডেল্টার তুলনায় কম হলেও ওমিক্রনের এত বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠার রহস্য কোথায়।

একটি ভাইরাস অতি সংক্রামক হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন বাতাসে ভাইরাসটির স্থায়ীত্বকাল, কোষের বাধা ভেঙে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা কিংবা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটানোর মত বিষয়গুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

মাঝ ডিসেম্বরে ডেনমার্কের প্রায় ১২ হাজার পরিবারের ওপর সমীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। তারা দেখতে পান, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন ২.৭ থেকে ৩.৭ গুণ বেশি সংক্রমণক্ষম।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়, ডেনমার্কের পরিসংখ্যান দপ্তর ও স্টেটেন্স সেরাম ইন্সটিটিউটের (এসএসআই) গবেষকরা।

তারা বলছেন, টিকা নেওয়া মানুষদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পাশ কাটানোর ক্ষমতা বেশি বলেই ওমিক্রন বেশি ছড়াচ্ছে।

ডেনমার্কে ৭৮ শতাংশের বেশি মানুষ কোভিড টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। আর বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ নাগরিক। প্রতি ১০ জনে আটজনই নিয়েছেন ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রতিষেধক।

গবেষণায় দেখা গেছে, বুস্টার ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াচ্ছে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে অনেক কম, সেটা ডেল্টা আর ওমিক্রন- দুই ধরনের জন্যই প্রযোজ্য।  

এসএসআই এর পরিচালক (কারিগরি) টায়রা গ্রুভ ক্রাউস বলেন, ওমিক্রন খুবই সংক্রামক হলেও গুরুতর অসুস্থতা কম তৈরি করছে বলেই মনে হচ্ছে।

“এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে চাপে ফেললেও ডেল্টার চেয়ে তা কম।”

ওই গবেষণার বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে ডেনমার্কে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৯৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলেও নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন পড়েছে মাত্র পাঁচজনের।