স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩১২ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
এর আগে সবশেষ ২৯ অক্টোবর ৩০৫ জন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, তারপর থেকে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিনশর নিচেই ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৮ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩৮ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৩ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৯৪ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।
গত এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ২৪৪ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭৮ শতাংশের বেশি। গত এক দিনে দেশের ৩০ জেলায় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
যে ৩ জন মারা গেছেন, তারা ছিলেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। দেশের বাকি পাঁচ জেলায় কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৮২ হাজার ৯৮১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা আগেরদিন ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ, ২ জন নারী। তাদের ৩ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি।
তাদের ৩ জন সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৮৯ লাখের বেশি রোগী।