কোভিড: মুখে খাওয়ার বড়ি মলনুপিরাভির তৈরি হবে দেশেই

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার নতুন ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ দেশেই তৈরি হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2021, 06:36 PM
Updated : 8 Nov 2021, 07:12 PM

সোমবার দেশীয় একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এই অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই সপ্তাহে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও একই অনুমোদন পাচ্ছে।

মূলত সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য তৈরি মলনুপিরাভির বড়ির কোভিড-১৯ রোগীদের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো সাড়া দেখা গেছে। এই বড়ি সেবনে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে প্রমাণ মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই ওষুধ তৈরির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

“আমাদের কাছে বেক্সিমকো, স্কয়ার, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, জেনারেল ফার্মা, বিকন ফার্মা, রেনাটাসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। আজ বেক্সিমকোকে ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অথরাইজেশন দেওয়া হবে। সেগুলো প্রক্রিয়াধীন।”

মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রমাণ মিলেছে। কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের দিনে দুবার করে এই ওষুধ দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) অনুমোদন পেয়েছে।

আইয়ুব হোসেন বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মুক্ত হোক। যত দ্রুত ওষুধটি আনা যায়, ততই ভালো। এজন্য আমরা চেষ্টা করছি।”

এই অনুমোদন পাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো মলনুপিরাভির ওষুধ তৈরি করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দেবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করার অনুমতি দেবে।