কোভিড: এক দিনে ৩৪৩৬ রোগী শনাক্ত, ৮৮ মৃত্যু

দেশে গত এক দিনে আরও ৩ হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৩ হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৭ হাজার ১১৬ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল; আর আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হল মোট ২৬ হাজার ৩৬২ জনের।

আগের দিন বুধবার সারা দেশে ৩ হাজার ৬২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৭৯ জনের। সে হিসেবে এক দিনে শনাক্ত রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা আগের দিন ১০ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল।

গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ২ হাজার ৪৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি।

আর এই সময়ে যে ৮৮ জন মারা গেছেন, তাদের ৩০ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ৫ হাজার ৯০১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে সবচেয়ে বাজে সময়টা পার করে এসে ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ৮৩ লাখের বেশি রোগী।             

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ৩০ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৪টি নমুনা।

নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত অনুযায়ী সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের ঢাকা ৩০ জন ঢাকা বিভাগের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ৩ জন।

মৃত ৮৮ জনের মধ্যে ৪৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের মধ্যে, ১৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের মধ্যে ৫৪ জন ছিলেন পুরুষ, ৩৪ জন ছিলেন নারী। ৬৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।    

বাংলাদেশে কোভিড-১৯: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য নিয়ে পুরনো সব খবর