টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ১২ থেকে ১৭ বছর এবং ২ থেকে ১১ বছর বয়সী মোট ৯২০ শিশুকে কোভোভ্যাক্স টিকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক বয়স গ্রুপে থাকবে ৪৬০ শিশু।
শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়ার ১০টি স্থানের মধ্যে ভারতী হাসপাতাল এবং পুনের ভাদু এলাকার কেইএম হাসপাতালের শাখাও রয়েছে। ২১ দিনের ব্যবধানে টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার পর শিশুদের ৬ মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পরিকল্পনায় প্রথমে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের টিকা দেওয়া হবে পরে দেওয়া হবে ২ থেকে ১১ বছরের শিশুদের।
এ বিষয়ে আদর পুনাওয়ালা বলেন, “আমরা বয়সের উল্টো দিক থেকে শুরু করব। ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের আগে টিকা দেওয়া হবে এবং পরে দেওয়া হবে ২ থেকে ১১ বছরের শিশুদের।”
ভারতে এ নিয়ে শিশুদের উপর চতুর্থ কোভিড-১৯ টিকার ‘ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা’ হতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্সের তৈরি প্রোটিনভিত্তিক ‘এনভিএক্স-কোভি২৩৭৩’ টিকা ভারতে কোভোভ্যাক্স নামে পরিচিত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া সেপ্টেম্বর থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের এবং এ বছরের শেষ নাগাদ শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তিন মাস সময়ের সুরক্ষার বিভিন্ন দিক এবং রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যগুলো উল্লেখ করে টিকার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবে সেরাম ইনস্টিটিউট।
ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) হালনাগাদ বিধি অনুযায়ী পরীক্ষাকালীন পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে কোনো টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি।
টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক লক্ষ্য সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া। যাদের বাবা-মা স্বেচ্ছায় সুস্থাস্থ্যের অধিকারী শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা দিতে চান তাদের ২১ দিনর ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে।
শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পাল বলেন, “আমাদের বুঝতে হবে শিশুদের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। আমার আনুমানিক ধারণা যদি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়স ধরা হয়, তবে এ সংখ্যা ১৩ থেকে ১৪ কোটি হবে। যাদের জন্য ২৫ থেকে ২৬ কোটি ডোজ টিকা লাগবে।
“কেউ টিকা পাবে আর কেউ পাবে না এটা আমরা হতে দিতে পারি না। কোন টিকার কতগুলো ডোজ পাওয়া যাবে তার ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে পরিকল্পনা সাজানো এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।”
শিশুদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা তৈরির জন্য দ্রুততার সঙ্গে পরীক্ষা চালাচ্ছে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সেক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে শিশুদের জন্য অনুমোদন পাওয়া কোনো টিকা পাওযা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের টিকা ১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রয়োগের জন্য ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে।