পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঢাকায় কানাডার হাই কমিশনার বেনোয়া প্রেফেঁতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে এই অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের টিকা পেতে বাংলাদেশের উদ্যোগ এবং ভারত থেকে প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার কথা রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
“দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ টিকা জরুরি প্রয়োজন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, এটাই এখন বাংলাদেশের অগ্রাধিকার।”
কানাডার কেনা অতিরিক্ত টিকা উন্নয়নশীল দেশকে দেওয়া হবে বলে দেশটির মন্ত্রী অনিতা আনন্দের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়টি উল্লেখ করে হাই কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, তিনি যেন তার দেশের সরকারের কাছে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২০ লাখ ডোজ টিকার জরুরি প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে কোভ্যাক্সের আওতায় না হয়ে এই টিকা সরাসরি বাংলাদেশেপাঠানো উচিৎ, যেভাবে পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে পাঠানো হয়েছে।
একই সময়ে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব করেন মোমেন।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রানেজেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। যে টিকা এখন মজুদ আছে, দ্বিতীয় ডোজও সবার দেওয়া সম্ভব হবে না।