করোনাভাইরাস: এক দিনে আরও ৯৮ মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; একদিনে আরও ৪ হাজার ১৪ জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 10:50 AM
Updated : 22 April 2021, 12:23 PM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৮১ জনে পৌঁছাল।

আর গত এক দিনে আরও ৪ হাজার ১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জন হল।

সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৭ হাজার ২৬৬ জন গত এক দিনে সেরে উঠেছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৫ এপ্রিল তা দশ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এর মধ্যে ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল চার দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর বেশি। ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত তিন দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একশর কাছাকাছিই থাকছে।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ৩৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৪৯টি ল্যাবে ২৭ হাজার ৪২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১১২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ৬১ হাজার ১৩৩ টি।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ আর নারী ৩৬ জন। তাদের ৪৬ জন সরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ছয়জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ৫৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর. ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৫৫ জন ঢাকা বিভাগের, ২০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ৪ জন সিলেট বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৬৮৩ জনের মধ্যে সাত হাজার ৮৮৬ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৭৯৭ জন নারী।