করোনাভাইরাসে মৃত্যু বেড়ে ৬৯০৬

এক দিনে আরও ৩২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৯০৬ জনে পৌঁছেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2020, 09:41 AM
Updated : 8 Dec 2020, 12:00 PM

২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ২০২ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জন।

মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫৭১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ১ হাজার ১৯৪ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৭৫ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৫টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৩৭টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭২৬টি।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৯০৬ জনের মধ্যে ৫ হাজার ২৮০ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬২৬ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭০৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজা ৭৮২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮২৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৫২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৮৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪১৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫০৩ জন খুলনা বিভাগের, ২২৮ জন বরিশাল বিভাগের, ২৭১ জন সিলেট বিভাগের, ৩১২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৪৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।