রোকেয়া হলের ঘটনায় নূর-লিটনদের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু নির্বাচনের মধ্যে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ভিপি পদে বিজয়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নূরুল হক নূরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে শাহবাগ থানায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2019, 04:36 AM
Updated : 12 March 2019, 10:18 AM

বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার, ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজীর,রোকেয়া হল সংসদের ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মৌসুমী, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আখতার হোসেন এবং ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তির নামও রয়েছে আসামির তালিকায়।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোকেয়া হলের একজন ছাত্রী গতরাতে থানায় এসে মামলাটি দায়ের করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। 

সোমবার ডাকসু নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলে ছাত্রলীগ বাদে অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণ শুরুর আগে তাদের খালি ব্যালট বাক্স দেখানো হয়নি। আর তিনটি ব্যালট বাক্সের হদিস তারা পাচ্ছেন না।

এরপর দুপুরে হলের ভোটগ্রহণ কক্ষের পেছনে আরেকটি কক্ষে ব্যালট পেপার বোঝাই ট্রাংক পাওয়া গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কারচুপির অভিযোগ এনে তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে তিন ঘণ্টা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ফারহানা ফেরদৌসী জানান, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২ হাজার ৬০৭টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার দাবি, ওইসব ব্যালটে কোনো চিহ্ন দেওয়া ছিল না, কারচুপির কোনো ঘটনাও সেখানে ঘটেনি।

ওই সময় ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতিতে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নূরের উপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান সাংবাদিকদের বলেন, নূরসহ অন্তত চারজনের ওপর রোকেয়া হলে হামলা করা হয়।

অন্যদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোকেয়া হলে কোটা আন্দোলনের লোকজন খালি ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সেখানে ‘নাটক’ সাজিয়েছে।

ডাকসুর জিএস পদে বিজয়ী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, “লিটন নন্দী, নুরুল হক নূর এবং রাশেদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”