তিন জেলায় ৩০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন

এসব কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সরকার কিনবে দশমিক ০৯৮৮ ডলারে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2024, 01:16 PM
Updated : 14 March 2024, 01:16 PM

খুলনা, মৌলভীবাজার ও রাজবাড়ীতে ১০০ মেগাওয়াট করে মোট ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।

এসব কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সরকার কিনবে দশমিক ০৯৮৮ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১০ দশমিক ৯২ টাকা।

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাবসহ মোট সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায়, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় এবং রাজবাড়ির গোয়ালন্দা উপজেলায় এসব সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করবে দেশি-বিদেশি কোম্পানির কনসোর্টিয়াম।

২০ বছর মেয়াদি প্রকল্পগুলো ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে’ বা বিদ্যুৎ না পেলে টাকা নয়’ ভিত্তিতে পারিচালিত হবে।

বৈঠকে আন্তর্জাতিক খোলা বাজার বা স্পট মার্কেট থেকে চার কার্গো এলএনজি কেনার পৃথক চারটি প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ৯ দশমিক ৭৮ ডলার মূল্যে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনা হবে। তাতে মোট খরচ হবে ৪২৩ কোটি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫ টাকা।

সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর নামের একটি কোম্পানি থেকে প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৩৬ ডলারে কেনা হয়েছে এক কার্গো এলএনজি। এতে মোট খরচ হবে ৪০৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৮ টাকা।

সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৪৭ ডলারে কেনা হচ্ছে এলএনজির তৃতীয় কার্গো। এতে মোট খরচ হচ্ছে ৪০৯ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার ৪০ টাকা। এলএনজির চতুর্থ কার্গো কেনা হচ্ছে প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ২৩ ডলারে। এতে মোট খরচ হচ্ছে ৩৯৯ কোটি ৫১ লাখ ৫২ হাজার ৭৬১ টাকা।

কমিটির পঞ্চম সভায় মোট ১১টি মন্ত্রণালয়ের ২১টি বিষয় উত্থাপন হয়েছিল। এর মধ্যে ১৮টি ক্রয় প্রস্তাব এদিন অনুমোদন পায়।

সচিব জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়েছে ২৭৯ দশমিক ৯৫ ডলার।

আগে দাম ছিল ৩০৩ দমশিক ১৯ ডলার। দাম অনেক কমেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট খরচ হচ্ছে ১৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

দুবাইয়ের গ্রেইন ফ্লাওয়ারের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে এই ৫০ হাজার টন গম।

এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে তিন লাখ টন গম আমদানির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি টনের দাম ২৮৮ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হচ্ছে ৯৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কেনাকাটায় দাম ছিল প্রতিটন ৩০৩ দশমিক ১৯ ডলার।

বৈঠকে সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কিনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়েছে ৫৮১ ডলার; আগের মূল্য ছিল ৫৭৬ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ক্রয়মূল্য ২৫০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

রাশিয়া থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার টন এমওপি সার কেনার একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে বৈঠকে। প্রতি টনের দাম পড়ছে ২৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার; আগের মূল্য ছিল ৩০২ দশমিক ১৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৯৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

চলতি বছর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির চতুর্থ সভায় নৌ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব পাস হয়।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পিপিপি মডেলে করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ অনুযায়ী রাশিয়া থেকে তিন লাখ টন গম আমদানির বিষয়টিও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে।