আরও ৫০০ স্কুলে ২০ হাজার গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ দেবে বিকাশ

এর আগে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের ৫০০ স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করে বিকাশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2024, 03:01 PM
Updated : 17 March 2024, 03:01 PM

স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের আরও ৫০০ স্কুলে এবছরও ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করবে বিকাশ।

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে স্কুল শিক্ষার্থী ও প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দিয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানিয়েছে, বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলগুলোতে বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

এর আগে, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের ৫০০ স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল মুজিব বিতরণ করে বিকাশ।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এবার নির্বাচিত প্রতিটি স্কুলে ৪ সেট করে মোট ৪০টি বই দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “রাষ্ট্র একটি জাতির জন্য সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন আমরা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জাতিকে তিনি মুক্তির স্বপ্ন দিয়েছেন। এই যে মুক্তি, এই যে সুযোগ, এই যে অপার সম্ভাবনার সামনে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এটাই বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে দিয়েছেন।

“মুজিব গ্রাফিক নভেলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র, আদর্শ, স্বপ্ন, কর্মস্পৃহা সবকিছু উপলব্ধি করা যায়। এই বইটি যে ছেলেমেয়েরা পড়বে, তাদের মনে চিরদিনের জন্য মহৎ কিছু করার স্বপ্ন তৈরি হবে।”

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে আমার উপলব্ধি হয়েছে- বাঙালি জাতির উপর তার প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস ছিল যে, এই জাতি কোথাও পৌঁছাবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে শিশু কিশোরদের জন্য এই কমিক সিরিজটি প্রকাশিত হলেও এটা সব বয়সের মানুষের ভালো লাগবে।

“এই বইটা পড়ে বঙ্গবন্ধুর গুণাবলীগুলোর সামান্যতম অর্জন করার প্রয়াস থাকলে ভবিষ্যতে যে নেতৃত্ব তৈরি হবে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। বই প্রকাশিত হওয়ার পর, সেগুলো পড়ানোর উদ্যোগ নেয়াটা খুবই জরুরি। শিশু-কিশোরদের এই বইগুলো পড়ানোর জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। এই উদ্যোগের সহযোগী হতে পেরে বিকাশ গর্বিত।”

২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ। এই কার্যক্রমের আওতায় অংশ নেয়া প্রায় ৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখের মতো বই বিতরণ করেছে বিকাশ। যার মাধ্যমে অন্তত ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।