রপ্তানির তথ্য এখন শুধুই অনলাইনে দিতে হবে

রপ্তানি আয় প্রত্যাবসনের সার্টিফিকেটও (সনদ) দিতে হবে অনলাইনে, নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2024, 07:41 PM
Updated : 3 March 2024, 07:41 PM

পুরোটাই অনলাইনভিত্তিক করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে রপ্তানি সংক্রান্ত সব তথ্য এখন থেকে আর কাগজে নেবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। 

এতদিন অনলাইনের পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রিন্ট আকারে রপ্তানির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

রোববার এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা কাগজবিহীন করা ও লেনদেন তথ্য নিয়মিত তদারকি করতে এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ বা ব্যবসায় পরিবেশ সহজীকরণ গতি পাবে।

এজন্য ‘অনলাইন ফরেইন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(এফএক্স ড্যাশবোর্ড)’ চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

‘ড্যাশবোর্ডের’ তথ্য পর্যালোচনা করে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার তদারকি ও প্রতিটি লেনদেন সহজেই আরও নিবিড় তদারকির আওতায় আনতে পারবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য যেমন-রপ্তানির পরিমাণ, আয়, বকেয়া হলে তার কারণ, মামলার বিষয়, রপ্তানি বিল, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে উদ্যোক্তাদের দাবি ইত্যাদি এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইনে জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি আয় প্রত্যাবসনের সার্টিফিকেটও (সনদ) দিতে হবে অনলাইনে।

নির্ধারিত সার্ভারে রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো অতিরিক্ত তথ্য থাকলে তাও জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বকেয়া হওয়া রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম(ওইএমএস)’ এ জমা দিতে হবে।

রপ্তানি আয় বকেয়া হওয়ার কারণ ও তা দেশে আনতে ব্যাংকের পক্ষ নেওয়া উদ্যোগগুলোও জানাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অনলাইনে জমা দিলেও ব্যাংকের কাছে ভবিষ্যত প্রয়োজনে রপ্তানি আয়ের সব তথ্য ও কাগজাদি (ডকুমেন্টস) সংরক্ষণ করতে বলা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, প্রবৃদ্ধি হয়েছে দুই দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার ছিল ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ছয় দশমিক ৬৭ শতাংশ।