ঢাকা, মার্চ ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলেও প্রচলিত আইন না মেনে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে ইউনিপেটুইউ বাংলাদেশ।
রোববার জাতীয় সংসদে এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
বিকালে স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউনিপেটুইউ স্বর্ণে বিনিয়োগ, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এজেন্সি হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা বা বিদেশে বিনিয়োগের জন্য দেশে নিয়ন্ত্রণকারী কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো প্রকার লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি।
চারটি কারণে ইউনিপেটুইউ'র কার্যক্রমকে সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়েছে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, এ ধরনের যে কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে জনগণের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বিষয়ে সতর্ক করে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে।
আইন লঙ্ঘন: প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের কথা বলে অর্থ নেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের অনুমতি তাদের নেই এবং স্বর্ণ কেনার কোনো দৃষ্টান্ত দেখা যায়নি।
এছাড়া তহবিল দেশে ও বিদেশে কোথাও বিনিয়োগ বা অন্য কোনো ধরনের বিনিয়োগ থেকে মুনাফা অর্জনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মুলধনী হিসেবে বাংলাদেশ টাকা রূপান্তরযোগ্য নয় বিধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো নিবাসী প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগ ফরেন এক্সেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৭ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয় নি: ইউনিপেটুইউ মালয়েশিার বেস্ট জেনিয়াস এসডিএন বিএইচডি কোম্পানি একটি শাখা বা এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করলেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট বা শাখা হিসেবে কাজ করার জন্য ফরেইন এক্সেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৭ এর ১৮ (বি) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া হয় নি।
অসৎ উদ্দেশ্য: প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনতাসির হোসেন ও চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান প্রচুর পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত হিসেবে স্থানান্তরিত করেছে। যা কোম্পানি আইনের লঙ্ঘন ও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
আত্মসাত: এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তার হিসাবে প্রচুর পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে যা কোম্পানির জন্য সংহীত হয়েছে বলে প্রমাণ হয়। কোম্পানির অর্থ কর্মচারিদের হিসাবে লেনদেন কোম্পানিটির অস্বচ্ছ লেনদেন এবং অর্থ আত্মসাতের লক্ষণ বলে প্রতীয়মান হয়।
মুহিত বলেন, "সার্বিক বিবেচনায় ইউনিপেটুইউ বাংলাদেশ বাংলাদেশে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলেও নিবন্ধনের শর্ত ও দেশে প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তারা অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে।"
তবে প্রচলিত নিয়মানুসারে ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবরে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড লাইসেন্স নেয় বলে সংসদে জানানো হয়।
একইভাবে ১১ অক্টোবর রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ঢাকা থেকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং, নেটয়ার্ক মার্কেটিং ও কনজ্যুমার মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর আওতায় নিবন্ধিত হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এমআই/১৯১৬ ঘ.