বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত গ্রাহকের প্রি-পেমেন্টের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর কাছে জমা রাখা হবে।
মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ই-কমার্সে কেনাকাটার পর পণ্য পেতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“আপাতত তারা যে গেটওয়ে ব্যবহার করে লেনদেন করে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সেই টাকা ধরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করার পর ওই টাকা পেয়ে যাবেন।“
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, এনবিআর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ই-ক্যাব, বেসিস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল।
লেনেদেনের পর গেটওয়েগুলোর কাছে জমা থাকা টাকার সুদ বাবদ আয় কোন পক্ষ পাবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা।
“সুদ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। টাকা দীর্ঘদিন বসে যেন না থাকে- সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে,” বলেন অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর।
বৈঠকে কোম্পানিগুলোর ছাড়ের ঘোষণার বিষয়টি দেখভাল করতে প্রতিযোগিতা কমিশন এবং ভোক্তাদের অভিযোগ ও আপত্তির বিষয়ে ভোক্তা অধিকারকে দেখভাল করতে বলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তমাল জানান, তৈরি করা খাবার সরবরাহ এবং রাইড শেয়ারিংয়ের মতো তাৎক্ষণিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।