“গত এক বছরে বিমান এক হাজার কোটি টাকার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি কিনেছে। জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত নিয়োগ কার্যক্রম চালু রাখার পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে,” বলেন মন্ত্রী।
Published : 25 Feb 2024, 10:03 PM
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা ‘আগের থেকে উন্নত হয়েছে’ দাবি করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, সমস্যা যেটুকু রয়েছে, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে সেগুলো আর থাকবে না।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক তিনি এ মন্তব্য করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
“গত এক বছরে বিমান এক হাজার কোটি টাকার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি কিনেছে। জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত নিয়োগ কার্যক্রম চালু রাখার পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন যেটুকু সমস্যা হয়, আশা করি থার্ড টার্মিনাল চালু হওয়ার পর তা আর থাকবে না।”
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে ‘স্মার্ট, দক্ষ এবং সেবামূলক শিল্প’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে ফারুক খান বলেন, সেজন্য দেশের সকল বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
“এছাড়া উড়োজাহাজের নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আইএলএস সিস্টেম ক্যাটাগরি-১ থেকে ক্যাটাগরি-২ তে উন্নীত করা হচ্ছে। সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে আইএলএস সিস্টেম স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে, খুব দ্রুতই এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।”
ফারুক খান বলেন, “বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর মুনাফা রেমিট করার ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কাজ করছি। ইতোমধ্যে রেমিটেন্সের কিছু অংশ ছাড় করা হয়েছে। এর পরিমাণ যেন আরো বাড়ানো হয়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া এভিয়েশন শিল্পের বিভিন্ন বিষয়ে করের হার নিয়ে এবং এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যাতে দ্রুত ও সহজে কাস্টমস থেকে ছাড় পায়, সে বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে কথা বলব।”
মুনাফার জন্য কাজ করলেও এয়ারলাইন্সগুলোকে সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “কোন যাত্রী যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমরা সকলে একত্রে কাজ করলে বাংলাদেশ থেকে সকল এয়ারলাইন্সই আরো সহজে, নিরাপদে এবং দক্ষভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। যাত্রীদের আরো উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে লক্ষ্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি, তা পূরণ করা সহজ হবে।”
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ আলী ফারুক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমসহ বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হওয়া দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।