রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রো রেলস্টেশনের নিচ থেকে এক নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পর তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর আগে ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, তার স্বামী রবিউল ইসলাম তাকে বেড়াতে নিয়ে এসে ‘ছুরিকাঘাত করে’ পালিয়ে যান।
নিহত লতিফা আক্তারের (২৮) বাড়ি কক্সবাজারের তারাবুনিয়া এলাকায়। তার স্বামী রবিউলকে খুঁজছে পুলিশ।
তুরাগ থানার এসআই ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, “আমি জানতে পেরেছি তার স্বামী তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থা ফেলে রেখে যায়। আমরা মেট্রোরেল স্টেশনের তিন নম্বর খুঁটির কাছ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি।
“হাসপাতালে নেওয়ার সময় ওই নারী বলেছেন, তার স্বামী তাকে দিয়া বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
লতিফাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা জানান, মাদকাসক্ত রবিউলের সঙ্গে লতিফার বনিবনা হচ্ছিল না। ঢাকার বাসাবো এলাকার ভাড়া বাসায় লতিফার এক প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। রবিউল তাকেও খুন করতে পারে বলে মৃত্যুর আগে আশঙ্কা প্রকাশ করে গেছেন লতিফা।