বাংলাদেশ রেলওয়ের যে ট্রেনটি পরীক্ষামূলক যাত্রায় ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গায় পৌঁছেছে তার চালক মো. এনামুল হকের মনে এখন স্বপ্ন পূরণের আনন্দ।
ঈশ্বরদী লোকোশেডে কর্মরত এই লোকোমাস্টার বলেন, “স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম ট্রেন চালানো, এটা আমার জীবনের বাড়তি আনন্দ। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে রেলের মাধ্যমে যুক্ত করেছেন। আর এই পদ্মা সেতু দিয়ে আমিই প্রথম ট্রেন চালালাম। আমি নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। আমি ধন্য।”
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। এই ব্রডগেজ ট্রেনে সাতটি কোচ এবং সামনে পেছনে দুটি লোকোমোটিভ ছিল।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এ ট্রেনের সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। পথে কয়েকটি জায়গায় গতি কমেছে, মাওয়া এবং জাজিরা স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য থামানোও হয়েছে।
এনামুল হক বলেন, পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ট্রেনের গতি আরও বাড়বে।
“সামনে যখন সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং রেল ট্র্যাক ক্লিয়ার হয়ে যাবে তখন এই পথ যেতে দেড় ঘণ্টার মত লাগবে।”
পরীক্ষামূলক এই ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার আবুল কাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি এর আগে প্রথম ট্রায়ালেও ছিলেন। এবার পরীক্ষামূলক ট্রেনেও আছেন।
“পদ্মা সেতুতে প্রথম ট্রায়ালে আমি ছিলাম। আজ অফিসিয়ালি ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলল। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এটা বিশেষ কিছু।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)