ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসছে ১৪২৭টি ক্যামেরা: অতিরিক্ত আইজিপি

“আরও ৭ হাজার জনবলের প্রস্তাব করা হয়েছে। আরো প্রায় সমান সংখ্যক (৭৬টি) হাইওয়ে থানা বা ফাঁড়ি গঠনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে,” বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2024, 11:15 AM
Updated : 7 Feb 2024, 11:15 AM

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৪২৭টি ক্যামেরা বসছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান।

বুধবার দুপুরে উত্তরায় হাইওয়ের পুলিশের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটি সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৯০টি জায়গায় ১৪২৭টি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।

“দুই এক মাসের মধ্যে এই কাজ শেষে হবে। এই ক্যামেরাগুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রয়েছে এবং একটি নেটওয়ার্কের আওতায় এগুলো পরিচালিত হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন ক্যামেরার কার্যক্রম উদ্বোধন করতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ক্যামেরার আওতায় আসলে ভালো পুলিশিংয়ের পাশাপাশি মহাসড়কও নিরাপদ হবে।”

হাইওয়ে পুলিশে জনবল ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ৩৬টি হাইওয়ে থানা ও ৩৭টি ফাঁড়ি রয়েছে আর জনবল রয়েছে ২৮৬১ জন।

“আরও ৭ হাজার জনবলের প্রস্তাব করা হয়েছে। আরো প্রায় সমান সংখ্যক (৭৬টি) হাইওয়ে থানা বা ফাঁড়ি গঠনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে,” বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মহাসড়কে চাঁদাবাজি বা অন্য অপরাধের দায়ভার হাইওয়ে পুলিশের উপর এসে পড়ে মন্তব্য করেন শাহাবুদ্দিন খান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার হাইওয়ে রয়েছে। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ দেখছে মাত্র ৩ হাজার কিলোমিটার সড়ক। বাকি সড়ক জেলা পুলিশ বা মেট্রোপলিটন পুলিশ দেখছে। হাইওয়েতে কোনো খারাপ ঘটনায় আঙুল কিন্তু হাইওয়ে পুলিশের দিকে ওঠায় জনগণ। কিন্তু তারা হয়ত এটা জানে না, ওই খারাপ কাজটি আমাদের আওতায় ঘটেনি।”

প্রস্তাবিত জনবল পেলে নয় হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক হাইওয়ে পুলিশের নজরদারিতে আসবে বলে জানান তিনি।

সৌজন্য সাক্ষাতে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খানসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।