ভোট: পুলিশকে সাহস জোগালেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা

“আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।"

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2023, 12:30 PM
Updated : 28 Dec 2023, 12:30 PM

ভোট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দক্ষতা, সাহস, বুদ্ধিমত্তা, কৌশল ও দৃঢ়তা বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি-বিআরপিওডব্লিউএ।

সংগঠনটি বলছে, “পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য জাতির ক্রান্তিকালে সকল প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।"

বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী ও মহাসচিব মিয়া লুৎফর রহমান চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে পুলিশ বাহিনীর পাশে থাকার অঙ্গীকারের কথাও জানিয়েছে বিআরপিওডব্লিউএ।

সেখানে বলা হয়, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনবিরোধী চক্র অগ্নিসন্ত্রাসসহ উপর্যুপরি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ঘটছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি (বিআরপিওডব্লিউএ) যে কোনো পরিস্থিতিতে অতীতের ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।"

সংসদ নির্বাচনের আগে, ভোটের সময় এবং ভোট পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী ‘প্রস্তুত রয়েছে’ বলেও বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।

বিএনপির বর্জনের মধ্যে আগামী ৭ জানুয়ারি যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে অংশ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৭টি দল। ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য থাকবেন।

তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের এই নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্র প্রতি ১৫-১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে। স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী। ভোটের আগে-পরের ১৩ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনী মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

Also Read: ভোটের মাঠে সেনা নামছে ২৯ ডিসেম্বর, পরিপত্র জারি

Also Read: নির্বাচনে এবার থাকবে সাড়ে ৭ লাখ নিরাপত্তা সদস্য