যে কোনো প্রয়োজনে পাশে আছি: বৌদ্ধ নেতাদের আইজিপি

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার পরিদর্শনে গিয়ে বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন আইজিপি।

বৌদ্ধদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার বুদ্ধ পূর্ণিমার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা এ উৎসবে মিলিত হতে এখানে এসেছি। এ দেশে সম্প্রীতির যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে, তা বিশ্বের বুকে এক নজির স্থাপন করেছে।

“যে কোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদেরকে যে কোনো সহযোগিতা করতে আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।”

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ওই বিহারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আইজিপি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বলে পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে শান্তিতে বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি উৎসব আয়োজনে সবাইকে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করার জন্য, নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সে নির্দেশনা মতো আমরা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি।”

আইজিপি বৌদ্ধ বিহারে পৌঁছালে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর একটি কেক কেটে সকলের সঙ্গে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে আগের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী  জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি ঘোষণা করেছেন। এ নীতির আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ‘ঈর্ষণীয় সাফল্য’ অর্জন করেছে।

“ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ পূর্বে যে অবস্থানে ছিল, তার চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করার ফলেই এ সফলতা এসেছে।”

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, নিকটস্থ পুলিশ ইউনিট অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, “সেখানে প্রতিটি ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।”

অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।