বাংলাদেশের নিবেদিত অংশীদার হিসেবে এই দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির বিষয়ে ইইউ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বলেন জোসেফ বোরেল।
Published : 06 Aug 2024, 12:36 AM
বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়ে শান্তি বাজায় রাখা ও সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, “জাতির উদ্দেশে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্ত হওয়ার ও সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
“গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূলনীতির প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখানো হবে।”
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় ইইউ দুঃখিত। শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সব বেআইনি হত্যাকাণ্ডের পক্ষপাতহীন তদন্তের বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নিশ্চয়তার কথা আমরা জেনেছি।
“মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহি আবশ্যক। যাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।”
জোসেপ বোরেল বলেন, বাংলাদেশের নিবেদিত অংশীদার হিসেবে এই দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির বিষয়ে ইইউ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের একদফায়। অসহযোগের পর ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন সোমবার দুপুরে পতন হয় শেখ হাসিনার।
এরপর সেনা সদরে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেনাপ্রধান জেনারেরল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠক শেষে জনগণের উদ্দেশে কথা বলার সময় তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা ঘোষণা দিয়ে বলেন, শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।
এ দিন দুপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে উচ্ছসিত জনতা রাস্তায় নেমে মিছিল করে। শেখ হাসিনাবিরোধী স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ঢাকা। ‘গুলি খাইছি কী হইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে’- এমনসব স্লোগান দেয় উত্তাল ছাত্র-জনতা। পুরো ঢাকা জনতার দখলে চলে যায়।
শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা। ভাঙচুর করা হয় বিজয় স্মরণিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ আরও অনেক স্থাপনা।
অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে বঙ্গভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
দ্রুতই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।