মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রের বাইরে প্রায় আধা ঘণ্টার সংঘর্ষের পর ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক কামাল তালুকদার ঘটনাস্থল থেকে জানান, ঘুড়ি মার্কার প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইয়ার মোহাম্মদ ইয়ারু এবং আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে না পওয়া টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়ায় কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনে ইয়ারুকে সমর্থন দেওয়া হয়।
মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের অভিযোগ, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই ওই কেন্দ্রে জাল ভোটের খবর পাওয়া যায়।
এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকে মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের ওই কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের সমর্থকরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন কবি নজরুলের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সূত্রাপুর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নুরুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই রাউন্ড গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। ভেতরের পরিস্থিতি কী, তা আমরা জানতে পারিনি।”
তবে, এর পরপরই কবি নজরুলের কলেজের ভেতরে বিকট শব্দে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক শেখ আবদুল্লাহ জানান।
তার ধারণা, কলেজের সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে হাতবোমাগুলো ভেতরে ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল। বিস্ফোরণের পরপরই কলেজের ভেতর থেকে হুড়মুড় করে ভোটাররা বেরিয়ে আসেন।
আনেয়ার হোসেন নামের এক ভোটার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ভোট দিতে এসেছিলাম, কিন্তু পারিনি। এটা কোনো রাজনীতি না। উনারা নিজেরা সিল মেরে সব নিচ্ছে।”
এ কলেজের তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৪৯ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কাজী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, “বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফোন করে বললেন, পরিস্থিতি যেহেতু খারাপ, স্বাভাবিক না হওয়ার পর্যন্ত বন্ধ থাক। বাইরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার ভোট নিচ্ছি। কিন্তু ভোটার এখন কম।”