দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, “এই সংকটময় মূহূর্তে আবদুল মতিনের মৃত্যুতে জাতীয় জীবনে যে বেদনাময় ও শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাতে আমি বেদনার্ত ও সমব্যথী।
“তার মৃত্যুতে বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতি একজন সত্যিকার অভিভাবককে হারাল। বিদ্যমান নৈরাজ্যের মধ্যেও বিপন্ন দেশবাসী তাকে আস্থার দিশারী মনে করত।’’
বুধবার সকালে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মতিন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “নীতি, আদর্শ, প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আবদুল মতিন ছিলেন একক ও ঈর্ষণীয় উচ্চতায়। লোভ, ঈর্ষা, স্বার্থপরতা, রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতার বিপরীতে এক নিঃস্বার্থ আপোষহীন ও এক আদর্শ পুরুষের নাম ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি দেশ ও জনগণের পক্ষে ছিলেন পাহাড়ের ন্যায় অবিচল। শোষিত মানুষের শৃঙ্খল-মুক্তির মধ্য দিয়ে সামাজিক অগ্রগতির অগ্রপথিক ছিলেন তিনি।”
খালেদা বলেন, “সব রকমের নিষ্ঠুরতা, শোষণের বিরুদ্ধে কোনো স্বৈরশাসকই তার কণ্ঠরোধ করতে পারেনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তাকে অদৃশ্য থাকতে কিংবা নিরব থাকতে দেখা যায়নি।’’
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য দেশের মানুষের কাছে ভাষা মতিন চিরঞ্জীব থাকবেন বলে শোকবার্তায় উল্লেখ করেন খালেদা।