‘প্রত্যাশা পূরণ না হলেও সাঈদীর মুখোশ খুলেছে’

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আপিলের রায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে দেয়ায় প্রত্যাশা পূরণ না হলেও এতে ‘ধর্মীয় নেতা’ হিসাবে তার মুখোশ খুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 05:20 AM
Updated : 17 Sept 2014, 02:43 PM

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার আপিলের রায়ে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

রায়ের পর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল মৃত্যুদণ্ড। ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছিল তা বহাল থাকবে এটাই ছিল প্রত্যাশা। সেটা থাকেনি। আমার খুব খারাপ লাগছে।”

তবে আপিলের রায়ে সাঈদীর নারী নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এই রায়ে একটি বিষয় জনগণ বুঝতে পারছে; ধর্মীয় নেতা হিসাবে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যে পরিচিতি ছিল, তার মুখোশ আজ জনগণের সামনে উন্মোচিত হলো।

“এখন থেকে তিনি জনগণের সামনে নারী নির্যাতনকারী এবং ধর্ষণকারী হিসাবে পরিচিত হবেন।”

রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে কি না জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “আমি আগে বলেছি এখানে রিভিউ চলবে না। এখন তো অন্য কথা বলতে পারি না। একটি বিশেষ আইনের অধীনে এ রায় হয়েছে। এখানে রিভিউয়ের কোনো সুযোগ নেই।”

তবে আদালত পুনর্বিবেচনার সুযোগ দিলে রাষ্ট্রপক্ষ তা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের আগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”

মামলা পরিচালনায় প্রসিকিউশনের কোনো ধরনের দুর্বলতা বা গাফিলতি ছিল কি না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “তদন্ত ঠিকমতো হয়েছে কি না কিংবা চার্জগুলো তদন্তকারীরা ঠিকঠাক উপস্থাপন করতে পেরেছেন কি না- সেটা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বোঝা যাবে।”

হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে আপিল বিভাগ। তার পাঁচ মাস পর এই রায় এলো।