আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার চায় গণজাগরণ মঞ্চ

জামায়াতে ইসলামীর ‘যুদ্ধাপরাধের’ বিচার নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এজন্য সময় বেঁধে দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে থাকা গণজাগরণ মঞ্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2014, 05:47 PM
Updated : 30 May 2014, 05:47 PM

শুক্রবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ২ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, এই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না হলে আইন মন্ত্রাণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনগত জটিলতার কথা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, মানতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত দল হিসেবে জামায়াতের বিচার আপাতত সম্ভব নয়।

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ইমরান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবির পক্ষে শপথ নিয়েছিলেন আজকের আইনমন্ত্রী। কিন্তু সে শপথের কথা মন্ত্রী বেমালুম ভুলে গেছেন। তিনি এখন সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষেই কথা বলছেন।

ফাইল ছবি

“আমরা বলতে চাই আইনমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি দাবি করছি, যেন তিনি তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেন।”

তিনি বলেন, “সরকার প্রধান থেকে শুরু করে যারা সরকারের যারা নেতৃত্বস্থানীয়, তারা প্রত্যেকে গণজাগরণ মঞ্চের প্রত্যেকটি দফার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। তারা সেসব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা আজ জনগণের কাছে দেয়া সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছেন।”

‘গণজাগরণ মঞ্চকে নানাভাবে বিভাজিত করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান।

“কিছু কথিত বুদ্ধিজীবীও এই কাজ করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- তরুণরাই এ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ। কথিত বুদ্ধিজীবীর দরকার নেই।”

সমাবেশে ব্লগার আরিফ জেবতিক, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্র্রন্টের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার চট্টগ্রামেও মিছিল-সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।