‘২ কোটি টাকা চেয়েছিল র‌্যাবের সিও’

সাত খুনের ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আরেক ব্যক্তিকে ‘গুম’ করার অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগ সমর্থক এক ব্যবসায়ীর পরিবার।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2014, 05:34 PM
Updated : 14 May 2014, 05:34 PM

ইসমাইল হোসেন নামে সিদ্ধিরগঞ্জের ওই ব্যবসায়ীর ভাই আব্দুল মান্নান বুধবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই অভিযোগ করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ইসমাইলকে তুলে নেয়ার পর ২ কোটি টাকা চেয়েছিলেন র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক। তার ভাবি জ্যোৎস্না বেগম এক কোটি টাকা জোগাড় করে নিয়ে গেলেও তাতে কাজ হয়নি।

এক্ষেত্রেও ৭ খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের এক স্বজনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এসেছে। নূর হোসেনের বাড়িও সিদ্ধিরগঞ্জে। 

৬ কোটি টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে র‌্যাব হত্যা করেছে বলে তার শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ তোলার পর এই দাবি করলেন মান্নান।

তিন মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ইসমাইলের সন্ধান দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেন তার পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তারা।

তারেক সাঈদ মোহাম্মদ

এতদিন পর অভিযোগ কেন করছেন- জানতে চাইলে মান্নান বলেন, এতদিন তারা ভয়ে চুপ ছিলেন। কারণ র‌্যাব কর্মকর্তা তাদের বিষয়টি প্রকাশ না করার হুমকি দিয়েছিলেন।

শহীদুলের অভিযোগ, কাউন্সিলর নূর হোসেনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে র‌্যাব তার জামাতাসহ সাতজনকে হত্যা করেছে।

ইসমাইলকে ‘গুম’ করার সঙ্গে নূর হোসেনের শ্যালক নূর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তারা বলছে, ঠিকাদারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে নূর আলমের ইন্ধনে র‌্যাব ইসমাইলকে গুম করেছে।

সাত হত্যাকাণ্ডের পর সাঈদ তারেকসহ র‌্যাব-১১ এর তিন কর্মকর্তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে আনা হয়।

তাদের সামরিক বাহিনীতে ফেরত পাঠানোর পর ইতোমধ্যে অবসরেও পাঠানো হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ রয়েছে আদালতের।

ইসমাইলের পরিবারের সঙ্গে মানববন্ধনে তার এলাকার মানুষও অংশ নেয়। তারা ইসমাইলের সন্ধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।