তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর।
তার মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৮৮ সালে মুজিবুল হক মন্ত্রিসভা সচিব হিসাবে অবসরে যান। সামাজিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৫ সালে তিনি সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক, ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত হন।
মৃত্যকালে সাবেক সচিব হক স্ত্রী, চার কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে মুজিবুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বরিশালের বানারীপাড়ায় জন্মগ্রহণকারী মুজিবুল হক ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শুরু করেন।
নিজের যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ক্রান্তিকালীন সময়ে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
এছাড়া তিনি জাতীয় পে কমিশনের চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মুজিবুল হক ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন করার জন্য জেল খেটেছেন। আর এ আন্দোলনে তার অবদানের জন্য তিনি ‘সোহরাওয়ার্দি পদক’ও পেয়েছেন।
এছাড়া সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্যখাতে সারাজীবনের অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে তাকে ‘অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক’ দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মুজিবুল হক জীবদ্দশায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন এবং জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন ও গবেষণা হাসপাতালে সহ-সভাপতিও ছিলেন।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন। এখন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক হিসেবে পরিচিত গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মুজিবুল হক।