শুক্রবার ঈদের সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা বরগুনা জেলা সদরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
হাজত খানায় ঈদের প্রায় পুরোটা দিন কাটালেও পরে মুচলেকা নিয়ে তিন জনকেই অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আবু হানিফ জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরের সোনিয়া সিনেমা হলের সামনে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এরা হলেন- বালিয়াতলী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের সুমাইয়া, নলটোনা ইউনিয়নের বাদল আকন এবং শহরের থানা পাড়া এলাকার রাজু।
২০১০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে রাজুর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পর সুমাইয়া পালিয়ে যান এবং পরে বাদল আকনকে বিয়ে করেন। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে আবার মনোমালিন্য দেখা দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা থেকে লঞ্চে বাদলের সঙ্গে বরগুনা রওনা হন সুমাইয়া, ভোরে তারা পৌঁছান।
আবু হানিফ বলেন, “সুমাইয়া লঞ্চেই তার আসার খবর প্রথম স্বামী রাজুকে মোবাইল ফোনে জানায়। রাজু তখন সাবেক স্ত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।”
রাজু সোনিয়া সিনেমা হলের সামনে বাদল ও সুমাইয়াকে আটকে সাবেক স্ত্রীকে রেখে দিতে চাইলে মারামারি বেঁধে যায়, আর সেই খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে যায়।