“আমার পারিবারিক ইতিহাসে এই রকম দুঃখজনক ঘটনা আর একটিও ঘটেনি,” ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেছেন তিনি।
গত বছরের ১৩ মার্চ এ টি এম শামসুজ্জামানের পুরানো ঢাকার সূত্রাপুরের দেবেন্দ্র নাথ ঘোষ লেনের বাসায় খুন হন ছেলে এটিএম কামালুজ্জামান কবির।
তাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এই অভিনেতারই ছোট ছেলে এটিএম খলিকুজ্জামান কুশল।
হত্যাকাণ্ডের পর এটিএম শামসুজ্জামান নিজেই ছেলে কুশলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
শামসুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন বাসায় ছিলেন তিনি। দুপুর আড়াইটা থেকে পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ ফটকে শব্দ পেয়ে খুলে দেখেন, তালাচাবিওয়ালা ফটকের তালা ভাঙছে।
“জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তাকে কবির সাহেব পাঠিয়েছে। পরে গেটের কাছে কামালকে (কবির) দেখতে পেয়ে তাকে বলি, জোরে নক করলেই তো আমি গেইট খুলে দিতাম। তুমি তালাচাবিওয়ালাকে আনতে গেলে কেন?”
“কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কবিরকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় দেখতে পাই। আমার তখন আর বোধ শক্তি ছিল না।”
তিনি বলেন, “এ সময় আমি নিজের কানে শুনি, কুশল বলছে- ‘আমি পালাব না, আপনি কবির ভাইয়াকে বাঁচান।”
কবিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
জবানবন্দি শেষে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ছোট ছেলে কুশলকে আসামি হিসাবে সনাক্তও করেন তিনি। কুশলকে কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়।
জবানবন্দি নেয়ার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বাদী এটিএম শামসুজ্জামানকে জেরা করেন। এরপর বিচারক আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এই মামলায় গত ২৫ জুন কুশলকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মুনিরুল ইসলাম। গত বছরের ৩১ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।