রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। তাতে টোল প্লাজার কম্পিউটার, প্রিন্টার এবং টোলের ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যায়।
ওই সময় টোল নেওয়া এবং গাড়ি ছাড়া বন্ধ থাকে। বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস এবং কভার্ড ভ্যান তখন সেতু পার হওয়ার অপেক্ষায়।
ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এই ২১টি জেলার মাওয়া রুট ব্যবহারকারী বাসসহ যানবাহনগুলো এতদিন ফেরিতে পারাপার হত।
ফলে ভোরের দিকেই দুই টোল প্লাজায় যানবাহনের ভিড় জমে যায়। পদ্মা সেতুতে হেঁটে ওঠা কিংবা গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা বারণ থাকলেও মানুষের উচ্ছ্বাসে সেসব ভেসে যায়।
সে সময় এক ঘণ্টা ধরে টোল প্লাজায় আটকে থাকা সার্বিক পরিবহনের বাস চালক হামিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইজ গাড়ির অনেক চাপ। অনেক প্রাইভেট ডানে-বামে ঢুকাইয়া দিছে। এই কারণেও জ্যাম লাগছে।”
সকালে নারায়ণগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গিয়েছিলেন ১২ জনের একটি দল। সন্ধ্যায় ফিরতি পথে দেখা হয় তাদের সঙ্গে। তাদের একজন জিয়াউল ইসলাম বলেন, অফিস ছুটি নিয়ে, ব্যবসা বন্ধ রেখে সব বন্ধুরা মিলে মোটর সাইকেলে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন আগেই। শনিবার সকালে যানজট পেরিয়ে ওপারে গেছেন, সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় আবার যানজটেই পড়তে হলো।
যানবাহনের ভিড়ের মধ্যেই কিছু ব্যক্তিগত ও বাস লেইন ভেঙে আসার চেষ্টা করে। তাতে পরিস্থি আরও জটিল হয়েছে বলে টোল প্লাজার কর্মীরা জানান।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন গোলাম মর্তুজা অন্তু]