বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠে নুরুন্নাহার নামের (৩২) ওই যাত্রী ঢাকায় নামেন। পরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মলদ্বার থেকে স্বর্ণের বারগুলো বের করে দেন ওই নারী।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ বিমানের দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের ওই ফ্লাইট চট্টগ্রামে নামলে সেখান থেকে ওঠেন ওই যাত্রী।
“চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তার আচরণে সন্দেহ হলে অনুসরণ করা হয়। ঢাকায় নামার পর তিনি টয়লেটে যান। বের হওয়ার পরপরই তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।”
প্রথমে অস্বীকার করলেও নিশ্চিত হতে এক্সরে করা হলে শরীরে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখার বিষয়টি বোঝা যায়। পরে এক্সরে দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নুরুন্নাহার স্বর্ণবার বহনের কথা স্বীকার করেন এবং সেগুলো বের করে দেন।”
চারটি প্যাকেটে থাকা আটটি স্বর্ণবারের বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকা বলে জানান শফিকুল ইসলাম ।
তিনি বলেন, “দুবাই থেকে আসা এক যাত্রী চট্রগ্রামে ওই নারীর কাছে স্বর্ণের বারগুলো হস্তান্তর করেন। ঢাকায় নেমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর সেগুলো বুঝে নেবেন বলে চুক্তি হয়েছিল তাদের মধ্যে। টাকার বিনিময় এই নারী শুধু বহনকারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।”
এ ব্যাপারে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং দি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর বিধান অনুযায়ী ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।